পদ্মায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। গোদার বাজার এলাকায় শহরররক্ষা বেড়িবাঁধের পাশে ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ।এতে করে বাঁধের বাহিরে থাকা পরিবারের চোখের ঘুম নাই। চোখের পলকে ভেঙে গেল ঘর। সাদ্দাম হোসেনের ঘর ভাঙা গাছ কেটে নিতে ডাকা হয়েছে গাছি।আয়নাল হোসেনের পরিবার কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।সবার চোখে মুখে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকোশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৮০ দশকের শেষ দিকে শহররক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। পদ্মার নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা। এছাড়া একই এলাকায় ড্রেজিং করা হবে। ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। কাজের মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড (ডিবিএল)। কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩১ মে। কাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। অপরদিকে গোদার বাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার এলাকা সংস্কার কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়। কাজ সম্পন্ন হয় চলতি বছরের ৩১ মে। ২৭ জুলাই থেকে এই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়।নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মা নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এখন আবার পানি কমে যাওয়ার সাথে আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে