রাজবাড়ীর বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মিয়াকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি এ বছর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বানিবহ ইউনিয়নে মধ্যরাতে ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় কাদেরের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় নিজ বাড়ির তিন রাস্তার মোড় থেকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার কর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

স্থানীয় আব্দুল কাদের, তার পরিবারের সদস্যসহ অন্যরা জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ গুলি ও চিৎকারে তাদের ঘুম ভাঙে। সে সময় আব্দুল লতিফ মিয়াকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।

তারা আরও বলেন, লতিফ মিয়ার শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে কে বা কারা তাকে গুলি করেছে, তা জানা যায়নি। সামনে ইউপি নির্বাচন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

বানিবহ ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা বাচ্চু বলেন, “ লতিফরে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। সে নির্বাচনের কাছে ব্যস্ত ছিলো। নির্বাচনের কাজ শেষ করে সে বাড়ীতে আসছিলো। পরে কারা যেনো তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সালাহউদ্দীন বলেন, পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল অবস্থান করছেন। তাকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটা উৎঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক দ্বন্দ্বকে গুরুত্ব দিয়ে আগাচ্ছি। অন্য কোন কারণ থাকলে সেগুলো উৎঘাটন করা হবে।