রাজবাড়ী প্রতিনিধি
 রেলওয়ের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। বৃটিশ আমল থেকে এদেশে রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে। সারাদেশে রেলের ২৩ হাজার একরের বেশি জমি বেদখল আছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ কায়দা করে তাদের নামে জমির রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। কোন কোন জমি তিন থেকে চারবার হাত বদল করা হয়েছে। সবগুলোই রেকর্ড ব্যক্তিদের নামে করে নিয়েছে। এখন উচ্ছেদের প্রশ্ন আসছে। যারা এসব জমি নিজেদের বলে দাবি করছে। তাদের কাছে প্রথমে যে ব্যক্তি বিক্রি করলো তাদের কোন কাগজ বা প্রমান কেউ দেখাতে পারেনি। রেলের অবৈধ দলখ উচ্ছেদের কাজ আমার নিজ জেলার পাংশা রেলস্টেশন থেকে শুরু করা হয়েছে। এখানে আয়াশ নামে একটি রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদ করা হযেছে। আমি ছোট বেলা থেকে দেখে আছি এখানে একটি খাল ছিলো। সেখানে ভরাট করে আয়াশ নামের ওই রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়ে ছিলো। রেলের জমি রেকর্ড করে নিলেই নিজের হয়ে যাবে না। রেলের নকশা আছে। নকশা ধরে সকল অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে। এ উচ্ছেদ বিষয়ে কোন আপস করা হবে না। রেলের জমি আপনারা যদি ভোগদখল করতে চান। তবে রেলের নিকট হতে ইজারা নিয়ে ভোগদখল করতে হবে। রেলের জমির মালিকানা একমাত্র রেল কতৃপক্ষ।
রেলের জমি খেতে হলে ইজারা নিয়ে খেতে হবে। ইতোমধ্যে রেলের অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। রেলের প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার একর জমি বেদখল হয়ে আছে।সব জমিই দখলমুক্ত করা হবে । রাজবাড়ীর পাংশায় রেলওয়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদ নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
শনিবার দুপুরে পাংশা প্রশাসনের আয়াজনে পাংশা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে পাংশা রেলওয়ে এলাকায় রেলের অবৈধ দখল উচ্ছেদ নিয়ে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, রেলওয়ের পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বি-ভাগীয় ভূসম্পত্তি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।সভাপতিত্ব  পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।