মোঃ ফিরোজ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে নওগাঁর আত্রাইয়ে দাম অনেক বেশি হলেও বেড়েছে নারিকেল বিক্রির ধুম। পূজা উৎসবে অতিথি আপ্যায়নের খাদ্য তালিকায় অন্যতম প্রধান মুখরোচক খাবার হচ্ছে নারিকেলের নাড়ু। এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েশসহ তৈরী করা হয় নানা স্বাদের খাবার। কাজেই পূজা উৎসবে নারিকেলের জুড়ি নেই। তাই পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কদর বাড়ছে নারিকেলের। ক্রেতারা ছুটছেন দোকানে, দরদাম করে কিনছেন নারিকেল। নারিকেলের পাশাপাশি কেনা বেচায় কদর বেড়েছে তিল ও গুড়ের দোকানেও।
সরেজমিনে বান্দাইখাড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়,নানা সাইজের নারিকেলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন,দোকানে সাধারণ ক্রেতাদের ভীড় বেশি। পুরুষ ক্রেতার পাশাপাশি আছেন নারী ক্রেতাও।

এসব দোকানে ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ১৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের প্রতি জোড়া ১৮০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেল প্রতি জোড়া ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। উপজেলার কচুয়া গ্রামের দিলিপ কুমার জানান, নারিকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না। চার জোড়া নারিকেল কিনলাম। গত বছরের চেয়ে এবছরে দাম অনেক বেশি হয়েছে। গত বছরে নারিকেল ১ জোড়ার দাম ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা এ বছর সেই নারিকেলের দাম ২১০ থেকে ২৪০ টাকা।

বছরের ব্যবধানে প্রতি জোড়া নারিকেলের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। নারিকেল ব্যবসায়ী মোঃ এলিন সরদার ও শ্রী সুব্রত সাহা জানান, সারা বছর কমবেশি বেচা কেনা হলেও পূজা উপলক্ষে বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। আমরা আশা করছি আশানুরূপ বিক্রয় করতে পারবো।
তারা আরও জানান, ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোকাম থেকে বাড়তি দামে নারিকেল কিনতে হয়েছে আমাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও কিছুটা কমেছে। পূজা মৌসুমে যারা ১২ জোড়া নারিকেল কিনতো এখন তারা কিনছেন ৬ জোড়া। উপজেলা পূজা এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ৪৭ পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা পার্বনে মিষ্টি ও মিষ্টান্ন খাবার বেশি তৈরি হয়। সে কারণে নারিকেল ও গুড় হচ্ছে পূজার অন্যতম উপকরণ। এছাড়া অতিথি অপ্যায়নেও নারিকেল ও তিলের তৈরি নাড়ুর কদর অনেক বেশি হয়ে থাকে।