মোঃ ফিরোজ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁতে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।

নওগাঁর রাণীনগর পুষ্টিকর চিনাবাদাম যেন এখন কৃষকদের গোপন রত্ন। বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা, দিগন্তজোড়া সারিবদ্ধ সবুজ বাদাম ক্ষেত দেখে যেন নয়ন জুড়িয়ে যায়। এবছর ফলন ভালো হওয়ার কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠছে আশার প্রদীপ।কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এবছর রানীনগর উপজেলার বিভি্ন্ন উঞ্চলে চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে।এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত বিনা চিনাবাদাম ৬,বিনা চিনা বাদাম ৮,এবং বারি চীনা বাদাম ৮ আবাদ বেশি হয়েছে।চীনা বাদামের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবি ২০২৪-২৫মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগ হতে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, এবছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে যা হেক্টর প্রতি প্রায় ১.৯ মেট্রিক টন। এবছর ভালো ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে চিনাবাদামের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছি। সরেজমিনে উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন, গুনা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাদাম তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এইসব অঞ্চলের কৃষকেরা।বিশাল অঞ্চল জুড়ে সারি সারি চীনা বাদাম ক্ষেত দেখে মন জুড়িয়ে যায়।কথা হয় বিলবাড়ি গ্রামের বাদাম চাষি আফজাল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বাদাম চাষে বাড়তি কোন কীটনাশক বা যত্নের প্রয়োজন হয়না,আমি এবার ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে আশা করি এবার বাজার দর ভালো পাবো।একই এলাকার বাদাম চাষি আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের চরের বেলে মাটিতে রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামের ফলন ভালো হয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে চীনা বাদাম চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম।তাছাড়া বাদাম এমন একটি ফসল যার চাহিদা থাকে প্রায় সারা বছরই এছাড়াও বাদাম বিক্রয় করতে কোন চিন্তা করতে হয়না।