রাজবাড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘর দেখতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ভীড়। ১৫ আগস্ট থেকে তিন দিন। রাজবাড়ী রেলস্টেশনে তিন দিন প্রদর্শনী হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জাদুঘরে উপস্থিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী রেলস্টেশনের থানার পাশে ট্রেনের একটি বগি রাখা হয়েছে। বগিটি বাইরের দিকে খুব সুন্দর করে সাজানো। ফটকের একপাশে বিভিন্ন বয়সের মানুষ গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করছে। কেউ ছবি তুলছে। কেউ মাইক্রোফোনে ইতিহাসের অজানা অধ্যায় শুনছে।
শহরের ধুনচি এলাকার বাসিন্দা আঃ রাজ্জাক বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এখানে আলোকচিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন কিছু শেখার আছে। শিশুরা এতে অনেক কিছু শিখতে পারবে। তবে একটি বুকলেট বা একটি লিফলেট করতে পারলে আরও ভালো হতো। তাহলে ইতিহাসটি সবার মুখস্ত হয়ে যেতো।
রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তমা রহমান বলেন. আমি এখান দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। বন্ধুদের কাছে শুনে তাদের সঙ্গে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি। আর পরিবেশটিও খুব ভালো।
সাদমান সাকিব বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। এখানে আমাদের প্রিয় নেতার জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। আমি আমার ছোট বোনকে নিয়ে এসেছি। এসব ইতিহাস দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার কাজে অংশগ্রহণ করবো।
সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। রেলওয়ে বিভাগ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। এটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ। ইতিহাসের বিভিন্ন অজানা অধ্যায় সহজেই জানতে ও বুঝতে পারছি।
রেলওয়ের উর্দ্ধতন উপসহাকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবীর বলেন. এতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ২৭ এপ্রিল উদ্বোধন করেন। এরপর ১ আগস্ট গোপালগঞ্জ থেকে ভ্রাম্যমান জাদুঘরটি যাত্রা শুরু করে। গোপালগঞ্জ থেকে ফরিদপুরের মধুখালী হয়ে রাজবাড়ী। প্রতিটি রেলস্টেশনে তিন দিন করে প্রদর্শনী চলে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। ১৮ আগস্ট থেকে ফরিদপুর প্রদর্শনী চলবে।