নুর হোসেন- চট্টগ্রাম, মিরসরাই উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের দুই প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান ‘সিজল’ ও মধুবনকে দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। নানান অনিয়ম ও বিএসটিএর অনুমোদন না নিয়ে তাদের লোগো লাগিয়ে মিষ্টি উৎপাদন ও বিপণণের অভিযোগে এ জরিমানা করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফ্রেরুয়ারী) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকার জালালাবাদ বিসিক শিল্প নগরীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিএসটিএর অনুমোদন না নিয়ে তাদের লোগো লাগিয়ে মিষ্টি উৎপাদন করায় সিজল কে দেড়লাখ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিস্টি তৈরির দায়ে মধু্বনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।জেলা প্রশাসন এবং বিএসটিআই এর যৌথ এই মোবাইল কোর্ট পরিচালানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।তিনি জানান, অভিযানকালে স্বাদ এর বায়েজিদের এ ফ্যাক্টরিতে তৈরি সকল খাবারের প্যাকেটে লেখা আছে আগ্রাবাদের ঠিকানা। এ ফ্যাক্টরিতে মিস্টি বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য কোন প্রকার লাইসেন্স তাদের নেই। এছাড়া সন্দেশ ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মিস্টিগুলো ছিল প্লাস্টিকের তেলের ড্রামে। সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছিল পামওয়েল ও ডালডা। ফ্রিজ থেকে দই এবং রসমালাই বের করে দেখা গেল বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়েই লোগো লাগানো হয়েছে প্যাকেটের গায়ে। এসকল অভিযোগ আমলে নিয়ে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১ লাখ এবং ময়লা পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে ৫০ হাজার মোট দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় সিজলের ফ্যাক্টরির ম্যানেজার মো: মিজানুর রহমানকে।এরপর পাশেই অবস্থিত মধুবনের ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একই দল। সেখানে ফ্যক্টরির কাগজপত্র সব ঠিকঠাক পাওয়া যায়। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিস্টি তৈরির দায়ে তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এর পক্ষে এ অভিযান পরিচালনা করেন