রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় রাজবাড়ীতে আরেকটি
মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস।
জালাল পাংশা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। তাঁর বাড়ি পাংশা উপজেলা শহরের গুধিবাড়ি গ্রামে।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে প্রধান আসামী করে মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামী করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক
হোসেন বুলবুল ও সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা।
মামলায় বলা হয়, ১৯ মে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিকেলে পুঠিয়া উপজেলার শিবচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এক নম্বর আসামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপির বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক ভীতি প্রদর্শনসহ সাইবার কার্যক্রম অপরাধ সংগঠন করেন এবং প্রকাশে জনসম্মুখে সবার সামনে বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে,
শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করবো ইনশাআল্লাহ’। এ ঘটনা আসামীরা নিজ নিজ স্মার্টফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ
করেন। এতে বাদীসহ বহু আওয়ামীলীগের নেতারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। উক্ত আসামীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী
আতঙ্কিত ভাবে জীবনযাপন করছে। আসামীর বক্তব্যে সারা বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টিসহ অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন ও বড় ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটতে পারে যা
রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আদালতে মামলা দায়ের করেছি। তবে এখনো আদালতের আদেশ পাইনি।
আগের বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বাদী রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে প্রধান আসামী করে মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের নাম
উল্লেখ করে রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।