মোঃ সোহেল রানা ( বরগুনা )ঃ
বরগুনাধীন বেতাগী উপজেলার ৪নং মোকামিয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার সংলগ্ন ৩০ শতাংশ জমি বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার হয় আইনি উচ্ছেদ মামলা দিয়ে। দীর্ঘ ২০ বছর পরে মামলার বাদীপক্ষ আইনিভাবে নিজেদের জমি বুঝে পেল । ওই জমি ভোগ দখল সূত্রে দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে আসছিল মোকামিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেবের ভাইয়েরা । এতে বিপাকে পড়ে যায় ১৫ টি হতদরিদ্র ব্যবসায়ী । করুনা গ্রামের মাওলানা নুরুল ইসলাম মল্লিক পরিবার ও ভোগ দখল মালিকরা দীর্ঘ 20 বছর মামলার অবসান ঘটে । ১১/০৬/২০২৩ইং তারিখে( রোজ – রবিবার ) সকাল ৮ ঘটিকার সময় এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক একটি টিম ও বেতাগী থানার অফিসার গন। সকালের প্রথম প্রহরে ভোগ দখল জমির মালিক দাবি ধার সাংবাদিকদের জানান , তারা কোন আইন- উচ্ছেদ নোটিশ পাননি । তারা আরো বলেন আমরা রেকর্ড সূত্রে এই জমির মালিকানা দাবি করছি । কেননা এই স্থানে দীর্ঘদিন আমাদের ১৫ টি দোকান ঘর স্থাপনা ছিল। এমনকি উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে আমার ভাড়াটিয়াদের মালামাল নেওয়ার সময় টুকু দেওয়া হয়নি । ভুক্তভোগী দোকানদারগন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের ঘর মালিক কিংবা আইনি আইনিভাবে কোন নোটিশ আমাদেরকে দেওয়া হয়নি । জীবিকার তাগিদে সবকিছু হারিয়ে মাথা বোঝার শেষ সম্বল টুকু চোখের সামনে নিমিষেই ধ্বংসস্তূপ হয়ে যায় । আমাদের কান্না কারো চোখে পড়ে না আমরা তো ভাড়াটিয়া আমরা তো ভাড়া দিয়ে থাকি প্রত্যেক বছরে চৈত্র মাসে দোকানের স্থান বুঝে ভাড়া নির্ণয় করা হয় এবং আমরা সকলে সেই টাকা পরিশোধ করি প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা সকল টাকা পরিশোধ করলেও কেন এই আমাদের উপরে না জানিয়ে আমাদের মালামাল সময় টুকু না দিয়ে আমাদেরকে পথ বসানোর উদ্দেশ্য কাজগুলো করা হয়েছে একদিকে মালিকপক্ষ বলছে আপনারা কেউ মালামাল সরাবেন না এবং উচ্ছেদ করা উদ্দেশ্যে আসা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বললেন আপনাদের মালামাল সরিয়ে ফেলুন।দোকানদারদের দাবি সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে করে আমরা যেন সঠিক ক্ষতিপূরণ ও বিচার চাচ্ছি।
মাওলানা নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান , আমার পৈত্রিক সূত্রের জমি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বলে অন্য লোকজন ভোগ দখল করে আসছিল। আমি দীর্ঘদিন ২০ বছর মামলা পরিচালনা করে আজ আমি সার্থক । আমি আদালত ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করছি তারা আমার নিজ অদখলি জমি আমার দখলে আইনি ব্যবস্থাপনায় ফিরে পেয়েছি।