মোঃ ফিরোজ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর আত্রাইয়ে কাঁচা মরিচ, জিরা,আদার দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতারা বিপাকে পরেছে৷

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ১০-১৫ দিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ ও আাদ ১২০ থেকে ১৬০টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০থেকে ২৪০ টাকা ও আদা ৩৬০ টাকা থেকে ৪০০টাকা কেজি ও জিরা ৯০০শত টাকা কেজি।

আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন দোকান বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০-১২ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ও আদা১২০থেকে ১৫০টাকা কেজি ৪০০টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এখন বিক্রেতারা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাইছেন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা আদা ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা জিরা ৯০০থেকে ৯৫০ টাকা ।
আকাশচুম্বী দাম শুনে বিব্রতায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। উপজেলার বান্দাইখাড়া হাটের কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মো. আঃ কাদের সরদার ও আমিনুল ইসলাম বলেন ৷ গত দুই সপ্তাহ আগে মরিচ ও আদা, জিরা যে দাম ছিল বর্তমানে সেই মরিচ,আদা,জিরা প্রায় তিন গুণ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মরিচের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন বাজারে যেখানে ১৫ থেকে ২০ মণ মরিচের আমদানি হতো, এখন সেখানে ৫ থেকে ৭ মণ মরিচের আমদানি হচ্ছে। শুধু মরিচ নয় অনেক সবজির সরবরাহ কমে গেছে।

দুরের এলাকা থেকে কোন কাঁচা সবজি না আসায় আর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একজন ক্রেতা আগে যেখানে আধা কেজি মরিচ কিনতো ও ২৫০গ্রাম আদা কিন্তু এখন সেখানে ২৫০ গ্রাম করে মরিচ ও আদা ৫০ গ্রাম করে কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ ও আদা,জিরার দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলার আহসানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেন,অতিব খরার কারণে গাছ নষ্ট হইছে বলে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতো এখনো তৈরি হয়নি যে বাজারে মরিচ, আদা, জিরা পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা হিসেবে সরবরাহ ঠিক আছে। তারপরেও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলার নন্দনালী গ্রামের ভ্যানগাড়ী চালক, সফির উদ্দিন জানান, এখন আমাদের ইনকাম নেই বললেই চলে আজ কাঁচা মরিচের দাম ২২০ টাকা ও আদা ৪০০টাকা কেজি।এমন করে সব জিনিসের দাম যদি বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।