রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হয়েছেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতা আঃ লতিফ মিয়ার স্ত্রী মোছা. শেফালী আক্তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার সাহা।

শেফালী আক্তার বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য। দুই সন্তানের জননী শেফালী আক্তার স্বামীর নাম আবদুল লতিফ মিয়া। তিনি বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সদ্য প্রয়াত এই নেতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ১১ নভেম্বর রাতে জনসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যামামলায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন এজাহারভূক্ত এবং দুইজন সন্ধিগ্ধ আসামী।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে বানিবহ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে মোছা. শেফালী আক্তার।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য তিনজন নেতার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তালিকায় আবদুল লতিফ মিয়া ছিলেন এক নম্বর। ১১ নভেম্বও আবদুল লতিফ দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সম্মতি প্রকাশ করেন। এতে করে অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাকে সমর্থন জানায়। মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার সাহা বলেন, বানিবহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এখনো তাকে বিজয়ী বলা যাবে না। যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরে তাকে বিজয়ী বলা যাবে।