আতিকুর, ঝিনাইগাতী ( শেরপুর) প্রতিনিধিঃ

নানা বিধি নিষেধে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫০ সয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালের মূল গেট এ তালা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গতকাল রবিবার থেকে এ বিধি নিষেধ সংক্রান্ত বিষয় প্যানায় লিখে মূল গেট এ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূল গেট এর উপরে অত্র হাসপাতালের ক্যাম্পাসে গরু ছাগাল ভেড়া মহিষ চড়ানো নিষেধ লিখে আরেকটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাইন বোর্ডে লেখা আছে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিড়ি সিগারেট পান জর্দা নিয়ে ঢুকা যাবে না।যে কেউ হাসপাতালে আসলে গেট এ নিরাপত্তা কর্মীর কাছে কারণ বলতে হবে।তবে রোগী যাতায়াত করতে মূল গেট এর পকেট গেট খোলা রাখা হয়েছে। বেশী অসুস্থ রোগীদের মূল গেট এ আসা মাত্র স্বাস্থ্য বিভাগ হুইল চেয়ার বা ট্রলির সেবা দিবে বলে প্যানায় লিখে দেওয়া হয়েছে কিন্তু মূলত এই শেবা দিচ্ছে না কতৃপক্ষ ।

রোগীর সাথে যানবাহন থাকলে হাসপাতালের মুল গেট এর নিরাপত্তা কর্মীরা মূল গেট খোলে দিবে কিন্ত সেখানে কোনো নিরাপত্তা কর্মী দেখা যায়নি। একটি সাহায্য সংক্রান্ত মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের মূল গেট থেকে জরুরী বিভাগের দুরুত্ব দেড়শ গজের উপরে।হাসপাতালের এমন সিদ্ধান্তে সেবা নিতে আসা মানুষজন বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে ভোক্তভোগী সূত্র জানিয়েছে।

ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতাল ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কখনোই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

প্রশাসনের দাবী জনস্বার্থে অফিস চলাকালিন এই নিয়ন্ত্রন থাকবে।বিকালের দিকে কিছু সময়ের জন্য গেট খোলা থাকবে।আবার রাতে গেট সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হবে। হাসপাতালের মূল গেটের ফটকে প্যানার প্রথম শর্তে লেখা আছে জরুরী নির্দেশনায় আছে বহিরাগত/বহিরাগতদের যানবাহন/গরু ছাগল প্রবেশ কঠোর ভাবে নিষেধ।দুই নম্বর শর্তে লেখা আছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্র/ছাত্রিদের প্রয়োজন ব্যতিত প্রবেশ নিষেধ।একজন রোগীর সাথে দুয়ের অধিক সাহায্যকারি প্রবেশ করতে পারবে না।ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে মুল গেইেটে তালা দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশাধিকার সংরক্ষন করা হয়েছে।

এতে করে ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালের পরিবেশ শান্ত থাকলেও সেবা নিতে আসা মানুষজন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সাহা বলেছেন হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা।ক্যাম্পাস অরক্ষিত থাকলে মাদক সেবী দালাল,গৃহপালিত পশুর উৎপাতসহ নানান অসামাজিক কাজ হয়। আর ঔষধ কোম্পানী ও অযাযিত লোকজনের গাড়ীতে হাসপাতাল ক্যাম্পাস ভরে যায়।এমনিতেই লোকবল সংকট তার উপর আবার নারী ডাক্তার নারী নার্স ও নারী কর্মচারি বেশী।কেউ যেন বিড়ম্বনার শিকার না হয় তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সাময়িক সমস্যা হলেও মানুষজন অভ্যস্থ হয়ে গেলে পরে দীর্ঘ মেয়াদি সুবিধা পাওয়া যাবে।দেশের কোন হাসপাতালে এই ব্যবস্থ্যা নেই তবে ভালো হলে এটা সবাই গ্রহন করবে।কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ নয় জনস্বার্থেই এই ব্যবস্থ্যা দাবী এই কর্মকর্তার।