তানোর থেকে: জাকির হোসেন-টুটুলঃ

রাজশাহীর তানোর উপজেলার ৫নং তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এর আয়োজনে ১-২ ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১০- অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩-৩০ মিনিটে ৫নং তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠন এর আয়োজনে তানোর উপজেলার ৫নং তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, আব্দুল করিম মেম্বার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান এর সঞ্চলনায় নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১-২ ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহচর, তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; রাজশাহী জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের কোষাধ্যক্ষ, তানোর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস সোনিয়া সরদার।
আরও উপস্থিত ছিলেন: তালন্দ ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামসুন্নাহার।

তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি মোকলেসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, মইফুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাফিউল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক, রবিউল ইসলাম।
তালন্দ ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি বুলবুল আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক, রনি ইসলাম।
এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি ময়না চেয়ারম্যান বলেন; বিএনপি-জামাত জোট যখনই সরকারে এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। ২০০১ সালের ১-অক্টোবর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১-আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়।
এ নারকীয় হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব, কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিল। হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সব আলামত ধ্বংস করে। তদন্তের নামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা জনগণকে ধোঁকা দিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়। কিন্তু, সত্য কখনো চাপা থাকেনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামাত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১-আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়। আদালত গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে পলাতক তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে ১১ আসামির। এই রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

বিএনপি-জামাতের সকল অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে জনগণ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ অতিথি: সোনিয়া সরদার বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এই সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’