রাজবাড়ী জেলা ঃ
রাজবাড়ীতে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ইয়াবা বড়ি দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই শিক্ষার্থী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আসিফ আহমেদ। ঘটনার সময় তিনি শহরের বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ভূক্তভোগি শিক্ষার্থীর নাম রিফায়াত ইবনে রইস আরাফ। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাড়ি শহরের নূরপুর গ্রামে। বাবার নাম মো. রইস উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই রিয়াসাত ইবনে রইস সামিট শিক্ষা সফরে গিয়ে ছিল। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে শহরের নতুন বাজার মুরগীর ফার্ম বাসস্ট্যান্ডে আসেন। তিনি তাকে মোটর সাইকেলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাসায় আসার পর জানতে পারেন, বাসস্ট্যান্ডে ল্যাপটপ ও একটি ব্যাগ ফেলে রেখে এসেছে। এরপর তিনি সেটি নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় পুলিশ তার গতিরোধ করেন। এসময় এসআই আসিফ আহমেদ, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও সুকান্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে মারধর করেন। জামার কলার ধরে পকেটে কিছু ঢুকানোর চেষ্টা করেন। বাধা দিলে বাড়িতে ফোন করে টাকা নিয়ে আসতে বলেন।
ফোন পেয়ে তার বাড়ির আত্মীয় স্বজনেরা ছুটে আসেন। স্থানীয় আরও কিছু মানুষ জড়ো হয়। এসময় ঘটনাটি অন্য খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভোর রাতে ওই তিন পুলিশ সদস্য তাদের বাড়িতে যান। এসময় এসআই সাগর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরের দিন ওই শিক্ষার্থী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভোর রাতে পুলিশ কর্মকর্তা ওই বাড়িতে গিয়েছেন। সঙ্গে আরও দুই পুলিশ সদস্য রয়েছে। সবাই পুলিশের পোষাক পরিহিত। পুলিশ কর্মকর্তা হাত জোড় করে ক্ষমা চাচ্ছে।
পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে পরবর্তীকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তা রাজবাড়ীতে যোগদান করেন। এর আগের কর্মস্থলে তিনি এক বছর সাত মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি মানসিক ভাবে অস্বস্তিতে ছিলেন। আগেও এ ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়ে ছিল। এই ঘটনার পর রাতেই ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে