মোঃ আল-আমীন হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর বুধবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে আশুলিয়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
বুধবার রাতেই তাদের ঘাটাইল থানায় সোপর্দ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গত বছরের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এক মামলায় তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন।
ঘাটাইল পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা বলেন, দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল ভূইয়া ধলাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সহ ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা সকলেই বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের নেতৃত্বে বাস গাড়ী নিয়ে বুধবার ভোরে সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছিল।
কয়েকটি গাড়ী যথাসময়ে সমাবেশস্থলে পৌছলেও উপজেলার সন্ধানপুর, ধলাপাড়া এবং দেওপাড়া ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বহন করা গাড়ীটি আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে।
তিনি আরো জানান, পরে সমাবেশ শেষে আমরা আশুলিয়া থানায় যাই। পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তারা জানান আটককৃতদের তাদের নিজ থানায় প্রেরণ করা হবে। সেই মোতাবেক বুধবার রাত তিনটার দিকে আটককৃত ২৬ নেতাকর্মীকে ঘাটাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের এক বছর আগের পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ বলেন, ১৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশকে সফল করার জন্য যোগ দিতে নেতাকর্মীরা যাচ্ছিলেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। সাজানো বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঘাটাইল থানার এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তার দাবী গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরা নিরাপরাধ। তিনি অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগীতায় আশলিয়া থানা পুলিশ বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার রাতে তাদের ঘাটাইল থানায় আনা হয়। ঘাটাইল থানায় তাদের বিরুদ্ধে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ নভেম্বর উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা ভিটিপাড়া এলাকায় কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে দিগড় ইউনিয়ন বিএনপি। পুলিশের দাবী সমাবেশ স্থলে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা আছে, সে মোতাবেক ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তিনটি কটকেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত সাতটি কটকেল উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতেই বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন ঘাটাইল থানার উপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন। ওই মামলাতেই তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।