মোঃ ফিরোজ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনীধিঃ

আত্রাইয়ের বিভিন্ন হাটে বাজারে মাছ ধরার খলসুনী বিক্রির ধুম।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা বর্ষার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সেই সঙ্গে জীবন-জীবিকার জন্য অভাবীরা এ সময় বেছে নেয় অন্য পেশা। মাছ ধরার এক প্রকার যন্ত্র যার নাম খলসানী বা খলসান যাই যে নামেই ডাকুক না কেন মাছ ধরার সেই যন্ত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। বাঁশ ও তালের আঁশ দিয়ে তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।
এ অঞ্চলের তৈরি খলসুনী আত্রাই উপজেলার আহসানগন্জ,বান্দাইখাড়া হাট সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ত্রীরমহনীহাট ঘোষগ্রাম বাজার এসব হাটে পাইকারি ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয় হয় খলসানী।

খলসান ব্যবসায়ী সুদেব ঋষি বলেন, তাদের দাদার আমল থেকেই তারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত। অনেকে নতুন করে এসেছে এ পেশায় তাই দিন দিন এর সঙ্গে মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ছেই। আত্রাই উপজেলার গ্রামের বিজয় ঋষি জানান, তার গ্রামের প্রায় পরিবারের লোকজন খলসানী তৈরির কাজে জড়িত আছে। আর আকারভেদে প্রতি জোড়া খলসুনীর দাম ৫০০/৬০০ টাকা। কখনও কখনও এর চেয়েও বেশিদাম হয়। আকারের ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় দাম। এক জোড়া খলসুনী তৈরিতে সময় লেগে যায় প্রায় দু’তিন দিন। উপকরণ বাবদ খরচ হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। জীবনযুদ্ধে খেটে খাওয়া মানুষগুলো হারতে নারাজ। তাই বর্ষাও পানিতে মাছ ধরার জন্য খলসানী ক্রয় করছে অনেকেই। তারা খলসানী দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।