ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কেক খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মোঃ আব্দুল আলীম ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের গোপীনাথপুর নতুন পাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত বৃদ্ধ আব্দুল আলীম ওই গ্রামের কফিল মোল্লার ছেলে, সে পেশায় একজন কৃষক ও ৫ সন্তানের জনক।
জানা যায়, উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের গোপীনাথপুর নতুন পাড়া গ্রামের জৈনক রাজমিস্ত্রির ৬ বছর বয়সী শিশু কন্যা বুধবার বিকালে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও শিশুটি বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সন্ধ্যার পরে শিশুটিকে বাড়ির অদূরে প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের সাথে নৌকা থেকে নামতে দেখতে পায়। রাতে শিশুটি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকলে তার মা জিজ্ঞেসা করলে শিশুটি জানায়, কেক খাওয়ানোর কথা বলে প্রতিবেশী আব্দুল আলীম তাকে বিলের মাঝে নৌকায় নিয়ে যায়। এসময় শিশুটি তার মায়ের কাছে তার উপরে চলা আব্দুল আলীমের পৈসাচিক নির্যাতনের বর্ণনা দেয়।
পরে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে থানায় নিয়ে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশারের পরামর্শে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ভুক্তভোগী শিশুটির মাতা অভিযোগ করে বলেন, বিকালে আমি রান্না করার সময় আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে খেলতে যায়, পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও আমার মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানায় বিকালে আমার মেয়েকে তারা আব্দুল আলীমের সাথে দেখা গেছে। পরে খোঁজাখুঁজি করতে করতে বিলের পারে গেলে দেখা যায় আব্দুল আলীমের আমার মেয়েকে নিয়ে নৌকা থেকে নামছে। শিশুটির মা জানান, আমার মেয়েকে আব্দুল আলীমের কাছ থেকে এনে তার মুখ হাত পরিস্কার করার পর মেয়ে জানায় তার প্রশ্রাব পথে খুব যন্ত্রনা হচ্ছে। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় আলীম তাকে যৌনাঙ্গে হাতের মাধ্যমে পৈশাচিক নির্যাতন করেছে।
তিনি আরও জানান, আমার শিশু মেয়ের সাথে যে পৈশাচিক আচরণ করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তার বিচার না হলে তার হাতে আরও অনেক শিশু একই ধরনের নির্যাতন হতে পারে। পরে বেলতৈল ইউনিয়নের গোপীনাথপুর নতুনপাড়ায় অভিযুক্ত আব্দুল আলীমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার স্ত্রী জানান,পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার স্বামীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খাইরুল বাশার বলেন, এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।