মোঃ ইসমাঈল হোসেন, বগুড়া সদর প্রতিনিধিঃ

বগুড়া ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী বহিষ্কার
বগুড়ায় অবরোধবিরোধী মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করাবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা হলেন, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান হোসেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার কর্মী সাদেকুল ইসলাম শুভ, জোবায়ের সরদার সিহাব ও মোহন ইসলাম। তারা সবাই বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল আলম মোহনের অনুসারী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছয় নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণ লিখিতভাবে আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ দুভাগে বিভক্ত। একপক্ষের নেতৃত্বে আছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, অপরপক্ষ পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ আর মাহফুজার রহমান।এরআগে বৃহস্পতিবার বিএনপি-জামায়াতের অবরোধবিরোধী মিছিলে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হন।জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সজীব সাহাকে সভাপতি এবং আল-মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বাকিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা গঠিত ওই কমিটিকে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং অযোগ্য আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। এমনকি পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, কারা হামলা করেছে গণমাধ্যমের বরাতে সবাই দেখেছে ও পড়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এ সিদ্ধান্তে বিশৃঙ্খলাকারীরা শাস্তি পেয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্ত সাংগঠনিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। আমরা আমাদের উত্তর জমা দেবো। তদন্ত হলেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কারা হামলা করেছে বের হয়ে আসবে।