রুহুল আমিন স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুর গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো উপজেলার সাদুল্লাপুরের শ্রীশ্রী মধুগঞ্জেশ্বরী কালী পূজা। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকমুখে জানা যায়, প্রায় তিন শত বছরের প্রাচীন এই কালীপূজা। উপজেলার এই পূজা ঐতিহ্যবাহী তথা উত্তর বঙ্গের অন্যতম কালীপূজা।

উপজেলার প্রচীনতম এই পূজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ তাদের মানত পূণ্য লাভের আশায় দক্ষিণাসহ পাঠা, কবুতর ও ভোগ দিয়ে থাকে। তাদের মনোবাসনা পূর্ণ্যের জন্য এই কালীপূজায় সমবেত হয়। শুধু দেশরই নয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেও ভক্তবৃন্দ এই মেলায় সমাবিত হয়। পূর্ণার্থ স্থান হিসেবে দর্শনার্থীরা পূজা দর্শনের জন্য আসেন।

সাদুল্যাপুর গ্রামের এক প্রবীণ ব্যক্তি ও মধুগঞ্জেশ্বরী কালী মাতা মন্দিরের বর্তমান ম্যানেজিং সেবাইত নারায়ণ চন্দ্র সরকারের বলেন, আমি বাপ-দাদার আমল থেকে এই পুজা দেখে আসছি এবং জেনেছি আজ থেকে প্রায় তিন শত বছর আগে মধুসুদন ভাদুরী নামে এক ব্যাক্তি এই পুজা শুরু করেন এবং তার নাম অনুসারেই মধুগঞ্জেশ্বরী কালী পুজা নামকরন হয়।

পরবর্তীতে মধুসুদন ভাদুরী তৎকালীন জমিদার রমন বিহারী সরকারকে পুজা-অর্চনা ও পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করেন এবং তাহার মৃত্যু হইলে রমন বিহারী সরকার সেবাইত হিসেবে নিজ তহবিল থেকে পুজা করেন, রমন বিহারী সরকার মারা গেলে পর্যায়ক্রমে তাহার জৈষ্ঠ পুত্র মৃত রমেস চন্দ্র সরকার, মৃত লব চন্দ্র সরকার, মৃত কুশ চন্দ্র সরকার। বর্তমানে মৃত রমন বিহারী সরকারের একমাত্র জৈষ্ঠ্য পৌত্র এই পুজার ম্যানেজিং সেবাইত হিসেবে নারায়ণ চন্দ্র সরকার প্রায় এক যুগ ধরে এই পুজা পরিচালনা করে আসছেন।

পূজার ম্যানেজিং সেবাইত নারায়ণ চন্দ্র সরকার সাথে পুজা ও পুজার আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সকল প্রস্তুতি শান্তিপূর্ণভাবে প্রশাসনের সহযোগিতায় সম্পুর্ণ হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাম নারায়ণ কানু ও সাধারন সম্পাদক সুবীর দত্ত বলেন, পুজা সুষ্টভাবে অনুষ্ঠানে প্রশাসন, চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শহীদ সহ ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে।