ইফতেখাইরুল আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের মোবারক আলী সওদাগর বাড়ীর মৃত ফয়েজ বক্সের ছেলে নুর আলম(৪০)কে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্রাসি কায়দায় হত্যা করার চেষ্টা।এ ঘটনাটি ঘটেছে,গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে।
জানা গেছে,আহত নুর আলম একজন দিন মজুর সে গাছ কাটার পাশাপাশি গরু ও ছাগল পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সেই সুবাদে নুর আলম নুরু, গত মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকে গরু পাহারা দিতে গিয়ে দেখেন তার আপন চাচার গাছ থেকে পাশের হাঁড়িধন ভূইয়া কাজী বাড়ীর জামাল নামের এক চোরকে সুপারি চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরেন নুরু। এক পর্যায়ে চোরের সাথে হাতা হাতি ধস্তাদস্তি হলে তাৎক্ষনিক আশপাশের লোকজন শোর চিৎকার শুনে ছুটে এসে চোরকে সুপারি সহ আটক করেন, খবর পেয়ে চোরের মা ও অপরাপর ভাইরা তাকে ছেড়ে নিয়ে যায়।
সকাল হতে না হতে চোর জামালের নেতৃত্বে তার অপরাপর ভাইরাসহ প্রায় ৭/৮ জন সহযোগী মিলে এসে নুর আলম নুরুকে বাড়ি থেকে মোবাইল করে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে, বাড়ীর দরজায় সন্ত্রাসী কায়দায় ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প এবং গাবের লাঠি দিয়ে এলো-পাতাড়ী মেরে গুরুত্বর আহত করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে নুর আলম নুরু স্রী সহ আশপাশের লোকজন শোর-চিৎকার শুনে ছুটে এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গুরুতর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রার্থমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত নুর আলম নুরু বাদী হয়ে,বেগমগঞ্জ মডেল থানায়, একলাশপুর হাঁড়িধন ভূইয়া কাজী বাড়ীর, জামাল(৩৮)দুলাল(৩২)জাহাঙ্গীর আলম(৩০) রিপন(২৩) রকি(২০) উভয়ের পিতা মৃত মোহাম্মদ উল্যা, নুর ইসলাম আঁইডুর ছেলে, জসিম(৩৮)লুতু মিয়ার ছেলে, আব্দুর রহিম(২৬) সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃআনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে, এ বিষয়ে এ এস আই নাজিম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এ এস আই নাজিম গতকাল (শুক্রবার)পহেলা ডিসেম্বর বিকেল ৫ টায় ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং এ ঘটনার সত্যতা পায়।বর্তমানে আসামিগণ পলাতক রয়েছে।