রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
আগামি ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্ভয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাজবাড়ী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে রাজবাড়ী রেলগেট ছালমা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জনতার আদালত পত্রিকার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই আহবান জানান তিনি।
নুরে আলম সিদ্দিকী বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দৈনিক জনতার আদালত নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে চেয়েছিলেন। এখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (ঈগল) প্রতীক নিয়ে  নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বীতা করছেন।
মতবিনিময় সভায় নুরে আলম সিদ্দিকী ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহন করা আমার জন্য মোটেই সহজ ছিলনা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর একটি মহলের ইঙ্গিতে তা বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপীল করে মনোনয়ন ফেরত পেয়েছিলাম। এর মধ্যে মূল্যবান ১০টি দিন আমার ক্ষতি হয়েছে। ওই সময়টাতে সকলের সাথে কুশল বিনিময়ের এক অসাধারণ সময় ছিল। প্রচারণা শুরু হওয়ার পর আমাকে এক মুহূর্তেও স্বস্তিতে থাকতে দেয়া হয়নি। আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে, হামলা হয়েছে। ভোট চাইতে গেলে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। প্রচার মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ফেস্টুন ভেঙে পানিতে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা । আমার এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাকেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা এলাকার অবস্থা আপনাদের অজানা নয়। আজ সকলের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। একটি দূর্বৃত্ত  মহল মানুষের কাছে পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালীর মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এভাবে আর চলতে পারেনা। সুতারং ভয়কে জয় করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমি বিজয়ী হলে এ অঞ্চলের সকল প্রকার সন্ত্রাস চিরতরে নির্বাসনে পাঠানো হবে। আমার নির্বাচনী এলাকার সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ নির্ভয়ে শান্তিতে বসবাস করবে বলে তিনি অঙ্গিকার করেন