আহসান হাবীব নাহিদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর সরকার পাড়ায় পরিচয় গোপন করে বিবাহ করতে এসে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৫ জনকে আটক থানায় মামলা দায়ের।

এবিষয়ে মামলার সূত্রে জানা যায় সাদুল্লাপুর উপজেলা ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের মৃত আজুবুদ্দিন মন্ডলের ছেলে ইব্রাহীম (৬৬) রমজান মাসে ঘটক হিসাবে জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর সরকার পাড়ার মঞ্জুর রহমানের মেয়ে মিশরী খাতুন (২০) এর সহিত গাইবান্ধার সদর উপজেলার হাট দাড়িয়াপুর জায়গীর গ্রামের মোঃ হাসান আলীর ছেলে রেজাউল (২৯) এর বিবাহের সমন্ধ নিয়ে আসেন।

পরে ঘটক ইব্রাহীম ছেলে রেজাউল কে নিয়ে ছোট দাউদপুর সরকার পাড়ায় মঞ্জুর রহমানের মেয়েকে দেখাতে নিয়ে আসেন আলোচনায় একপর্যায়ে মেয়েকে পছন্দ হয়েছে এবং রেজাউল করিম নিজেকে সরকারি কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে পুলিশের চাকুরী করেন বলে জানান। এর কিছুদিন পরে ঘটক ইব্রাহীম মঞ্জুর রহমান কে নিয়ে রেজাউল করিমের গাইবান্ধার সদর থানাধীন ক্ষত্রীয় পাড়ায় নিয়ে জান সেখানে ছাবিনা বেগম কে দেখতে পান এবং ছাবিনা বেগম নিজেকে রেজাউল করিমের মা হিসাবে পরিচয়দেন এবং ছেলে বাসায় নেই বলে জানানো হলে ঘটল ইব্রাহীম মঞ্জুর রহমানকে বিভিন্ন বাহানা দিয়া ভুল বুঝিয়ে ছেলের সুনামের কথা বলিয়া তার সঙ্গে মেয়ের বিবাহ দিতে প্রলুব্ধ করেন।

১৯ মে রাত্রি ১০ টায় জামালপুর ছোট দাউদপুর সরকার পাড়ায় মঞ্জুর রহমানের মেয়েকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিবাহ কতরে আসেন প্রতারক চক্রের সদস্য বর সেজে আসা গাইবান্ধার সদর উপজেলার হাট দাড়িয়াপুর জায়গীর গ্রামের মোঃ হাসান আলীর ছেলে রেজাউল করিম (২৯) ঘটক সেজে আসা সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের মৃত আজুবুদ্দিন মন্ডলের ছেলে ইব্রাহীম (৬৬) খালু সেজে আসা রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের রওশনপুর গ্রামের মোজাম্মেল প্রধানের ছেলে মাহাবুর প্রধান (৪১) বরের বন্ধ সেজে আসা রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের একবারপুর দক্ষিণপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে রিশদ মিয়া (২৪) ও বরের মা সেজে আসা কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানাপাড়ার মৃত বাচ্চা মিয়ার মেয়ে ছাবিনা বেগম (৫০)।

বিবাহ কাবিননামা সম্পাদনের সময় স্থানীয় কাজী একরামুল রেজাউল করিমের এনআইডি কার্ডের ঠিকানায় ও ছবিতে গরমিল থাকায় কাবিননামা সম্পাদনের অস্বীকৃতি জানালে রেজাউল করিম তার সঙ্গে থাকা একটি পুলিশি আইডি কার্ড দেখান যাতে বদরুল আলম নাম লেখা নাম ও ছবির সঙ্গে চেহারার মিল না থাকায় কাজী একরামুল কাবিননামা সম্পাদন না করে চলে যান।

উপস্থিতি স্থানীয় লোকজনের জেরার চাপে রেজাউল করিম জানান যে সে পুলিশের চাকুরী করতেন কিন্তু দের বছর আগে তার চাকুরী চলে যায়। পরে স্থানীয় মেম্বার আল-আমিন সরকার কে বিষয়টি অবগত করে স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেস্টা করে সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় পুলিশি সহায়তার জন্য ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানালে ২০ মে সোমবার বিকালে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামীদের সঙ্গে থানায় হাজির হয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন মঞ্জুর রহমান।

এবিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।