রাজাবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে ডাকাতি করে পালানোর সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায়  ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. আসাদুল্লাহ বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে আর ৫-৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন মো. রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার রফিকের ছেলে মো. শাকিল (২৭), রামকান্তপুর গ্রামের জমসের মহরি (৩৩), লক্ষীকোল গ্রামের রাজার বাড়ি এলাকার আহম্মেদ আলীর ছেলে  মারুফ আহম্মেদ (২৬), বিনোদপুর কলেজ পাড়া এলাকার রাজু আহম্মেদের ছেলে মো. রাকিব (২৩), বিনোদপুর এলাকার হজোর ছেলে মো. শরিফ (২৩) ও কৃষ্ণ কর্মকারের ছেলে প্রীতম কর্মকার (২৭)।
এদের মধ্যে শাকিল, জমসের মহরি ও মো. শরিফ পলাতক রয়েছেন। বাকী আসামিদের কারাগারে পেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত শুক্রবার  দিবাগত রাতেও বাড়ির সবাই রাতের খাওয়া খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে আসাদুল্লার দরজায় কেউ নক করে। হাসপাতালের কেই মনে করে আসাদুল্লাহ দরজা খুলে দেয়। পরে দুই-তিনজন তাকে ধাক্কা দিয়ে এলোপাতারি মারধর শুরু করে। আসাদুল্লাহ চিৎকার করতে থাকলে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে চুপ করতে বলে। পরে প্রাণের ভয়ে সে আর কোন কথা বলেনা না।
এসময় তাদের ঘরে থাকা, নগদ ৬০ হাজার টাকা, একটি একটি ক্যানন এর ৬ডি মার্ক-২ ভিডিও ক্যামেরা, একটি স্যামসাং মোবাইল, একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের গলার হার,একটি স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া স্বর্ণের চুরি ডাকাতি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য  ৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে আসাদুজ্জামানের বোন তাসফিয়া শোরগোলের শব্দ শুনে তার ঘরে আসলে ডাকাতদল তার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা ডাকচিৎকার করিলে আশপাশের লোক জড়ো হয়। পরে ডাকাত দলের তিন সদস্যকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। তারপর স্থানীয় লোকজন তাদের মারধর করতে থাকলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতে খারুল আলম প্রধান বলেন, গতরাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ডাকাত সন্দেহে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা দায়ের করে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে।