শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা গৈড্যা দাস বাড়ি মন্দিরে পাহারারতদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২ অক্টোবর) বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক আয়শা আক্তার এ আদেশ দেন।

এর আগে বিএনপি কর্মী মেহেদী হাসান ৪৬ জনকে আসামি করে মামলা করলে বুধবার (২ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট সকালে বিএনপিকর্মী মেহেদী হাসানসহ ভেদরগঞ্জ পৌরসভার গৈডা দাস বাড়ি মন্দিরে পাহারারত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জব্বার রাড়ীর নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়।

সেই মামলায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী ইয়াছিন মৃধা, হক সরদার, নাছির সরদার, ইব্রাহিম শিকদার, বাবুল হাওলাদার, মাহাবুব, আবু বক্কর সরদার, আশিক হাওলাদার, হারুন বেপারী, শাহাদাত রাড়ী, তাহের হাওলাদার, আবুল মাদবর, ফারুক সরদার, রুবেল মীর, জুয়েল মৃধা, শাকিল বেপারী, রনি ভূঁইয়া, মেহেদী সরদার, মুজাহিদ মাঝি, শাহআলম হাওলাদার, অশ্রু হাওলাদার, সায়েদুর রহমান, আশিক, সুজন মুন্সি, ইপু তালুকদার, শহিদ হাওলাদার, জসিম চৌকিদার, আ. রব মৃধা, রুহুল মৃধা, মোসলেম উদ্দিন চোকদার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ৬ আগস্ট সকালে বিএনপিকর্মী মেহেদী হাসানসহ ভেদরগঞ্জ পৌরসভার গৈডা দাস বাড়ি মন্দিরে পাহারারতদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা জব্বার রাড়ীর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মাদবর, নুরে আলম, শামিম চোকদার, শাহ আলম হাওলাদারসহ ৪৬ জন হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ৮ লাখ টাকার চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করে। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মেহেদী হাসান বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি মামলা করেন।