এম এস শ্রাবণ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ বুধবার ( ৯ ই অক্টোবর)২৪ ইংঃ
১৫ ই আশ্বিণ-হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু।

দেবীর আবাহন ঘটস্থাপন অধিবাস, বোধন এবং মহাষষ্ঠী বিহীত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।

আগামী রবিবার (১৩ অক্টোবর) ২৪ইন, ২৬ শে আশ্বিন ১৪৩১ বাংলা বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসব।

এদিকে দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে।

চট্টগ্রাম – জেলা সহ সারা দেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। মণ্ডপের সামনে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণী।
ঢাক-ঢোল, কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্দিরও মণ্ডপ।

আজ বুধবার ( ০৯ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গা দেবীর বোধন। শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরুতে দক্ষিণায়নে নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙাতে ভক্তরা বোধন ও বন্দনা পূজা করেন।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দুর্গাপূজা বারোয়ারি বা কমিউনিটি পূজা হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ষষ্ঠী তিথির সন্ধ্যায় ধূপের ধোঁয়া ঊলুধ্বনিঢাক ঢোল-কাঁসর-মন্দিরের চারদিক কাঁপানো শব্দ আর পুরোহিতদের কণ্ঠে-যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দিয়ে দূর কৈলাস ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে আসেন।
পূরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা করেন।
বসন্তে তিনি এ পূজার আয়োজন করেন।
এজন্য দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়।
কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন- শরৎকালে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত।
দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে ‘অকাল বোধন’ বলা হয়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসেন।
অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।এদিকে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োজিত আছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

বন্দরটিলা শান্তি সংঘ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সার্বজনীন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসব, ১৪৩১ বাংলা, জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ ও শারদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

স্থানঃ সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দির, দক্ষিণ হালিশহর, বন্দরটিলা, জেলেপাড়া,৩৯ নং ওয়ার্ড, ইপিজেড চট্টগ্রাম।