শরিফুল ইসলাম রাকিব, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জে ৬ শতক জমি এগ্রিমেন্ট (বন্ধক) রেখে  ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১০ বছর মেয়াদ শর্তে টাকা নিয়ে প্রতারনা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন  শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গুজিয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম সান্তু। বুধবার দুপুর ১২টায় তিনি গুজিয়া বন্দরে অবস্থিত সান্তু এয়ার ইন্টারন্যাশনাল কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমার প্রতিবেশী শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নয়আনা মাঝপাড়া গ্রামের মৃত কাদের এর পুত্র ইমদাদুল হক। সে গুজিয়া বন্দরে আমার নিকট সাড়ে ৯ লাখ ৫০হাজার  টাকা নিয়ে চুক্তি মোতাবেক তার ৩ শতক জমি বন্ধক রাখেন। একই সাথে পাশে আরেকটি ৩ শতকের প্লট সে আমার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়ার নিকট বন্ধক রেখে ১৫ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন। ইমদাদুল হক জায়গা দুটি ১০ বছর মেয়াদে প্রায় ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে নিয়ে গত ১/১১/২৩ ইং সালে ষ্ট্যাম্পে লিখিবদ্ধ ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করে দেন। চুক্তিনামায় উল্লেখ থাকে যে, জমির মালিক ইমদাদুল হক ১০ বছর মেয়াদে বন্ধককৃত জমি কখনো বিক্রি করতে চাইলে প্রথমে বাজার মূল্যে আমার কাছেই বিক্রি করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ আমি জানতে পারি আমার নিকট বন্ধক রাখা জমির মালিক ইমদাদুল হক উল্লেখ্য ৬ শতক জমির ৩ শতক গোপনে বিক্রি করেছে। আমার টাকা আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে প্রতারক ইমদাদুল হক আমার বসবাস করা জমি গোপনে কৌশলে পাশের এনায়েতপুর গ্রামের  আব্দুর রশীদের পুত্র আবু সাইমের কাছে বিক্রি করে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। শুধু প্রতারনায় নয় তারা গত ৪/১০/২৪ইং তারিখে বন্ধককৃত জমি তাদের দখলে নিতে আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। যা এ-সংক্রান্ত শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমান মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতারক ইমদাদুল হক আমার টাকা ফেরত না দিয়ে  এগ্রিমেন্টের জমি বারবার দখলের চেষ্টা ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।  আজকের এই সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বন্ধকীর টাকা ফেরত ও সুষ্ঠ বিচার পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।