আতিকুর, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি :

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের জীব বৈচিত্র্য বিলুপ্তি হচ্ছে। ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতায় গারো পাহাড়ে দুই যোগ আগেও জীব বৈচিত্র্য বন্যপ্রাণীর অবাদ বিচরণে পাহাড়ে ছিলো নানা প্রজাতির জীব বৈচিত্র্য।

সময়ের সাথে কালের পরিবর্তনে মানুষের কোলাহলে বর্তমান গারো পাহাড়ে জীব বৈচিত্র্য বিলুপ্তির পথে।

শেরপুর জেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা গারো পাহাড়ে এখন বন্যহাতি ব্যাতীত সকল জীব বৈচিত্র্য বিলুপ্তি হয়েছে ” বন্যেরা বনে সুন্দর ” শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ” প্রবাদটির সত্যতা মিলে গেছে।

প্রায় দুইযুগ আগেও বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ, বনমোরগ, শিয়াল, বন কুকুর, বানর, সাপ সহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ভয়ে গারো পাহাড়ে প্রবেশ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছিলো। গারো পাহাড়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা আটকে পড়া বন্যহাতির পাল ছাড়া অন্য কোন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য দেখা মিলছে না।

স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী টিটু সহ এলাকাবাসীরা জানান, ঐতিহ্যবাহী শেরপুরের গারো পাহাড়ে দিন দিন বন্যপ্রাণী বিলুপ্তি হয়েছে। মানুষের কোলাহল ও বনে অবাধে মানুষ যাতায়াতের ফলে বন্যপ্রাণী হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রজাতির জীব বৈচিত্র্য পাহাড়ে অবমুক্ত করে বনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন বন কতৃপক্ষকে।

এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, দুইযুগ আগেও বনে অনেক বন্যপ্রাণীর দেখা মিলেছে। এখন মানুষের আবাসস্থল গড়ে উঠার ফলে জীব বৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া যায় না। বন বিভাগ থেকে বন্যপ্রাণীকে বাচাঁনোর জন্যে সচেতনামূলক সেমিনার ও পাহাড়িদের সাথে আলোচনা ও প্রাণী অবমুক্ত করার কাজ চলছে। বন্যহাতি ও অন্যান্য প্রাণীকে না মারার জন্যে আমরা কাজ করছি বলে জানান।

গারো পাহাড়ে জীব বৈচিত্র্য অবমুক্ত করে পাহাড়কে আগের মতো পরিবেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে কর্ক্ষৃপক্ষ এমনি প্রত্যাশা করেছেন শেরপুরবাসী।