রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মো. শামীম হোসেনকে একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। ঢাকার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতে করা মামলায় ৫৮ নম্বর আসামি শামীম। মামলার বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী আব্দুল বারিক শেখ।
শামীম হোসেন রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার গৌরঙ্গপুর গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হামলায় চোখ হারান মো. আব্দুল্লাহ বাবু নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আব্দুল্লার বাবা মো. আব্দুল বারিক শেখ বাদী হয়ে ঢাকার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাংবাদিক শামীমকে যুবলীগের নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মো. শামীম হোসেন বলেন, আমি একজন সংবাদকর্মী। আমি দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছি। মামলায় আমাকে যুবলীগ নেতা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না বর্তমানেও নেই। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আমি আমার কর্মস্থল পাংশায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করেছি। উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়েপাংশা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এম.এ জিন্নাহ বলেন, দৈনিক কালবেলা’র পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মো. শামীম হোসেনকে ঢাকার একটি রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এ মামলা থেকে মো. শামীম হোসেনকে অব্যাহতি প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মামলার বাদী মো. আব্দুল শেখ বারিক মুঠোফোনে বলেন, ‘এই ব্যাপারে মোবাইল ফোনে আমি কোন কথা বলতে পারবোনা। আপনারা সাক্ষাত করেন আমি বিস্তারিত খুলে বলব। মোবাইল ফোনে কথা বলা নিষেধ আছে। আমি ওনাকে (শামীম) বলেছি দেখা করতে। তিনি যেন কোন প্রকার হেনেস্তা না হন এ বিষয়ে আমি দেখবো।’
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক র্যাব পরিচালক মো. খোরশেদ হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুণ অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা দক্ষিন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহি, ঢাকার দক্ষিণ মহানগরের যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, টুটুল, রফিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান সজল, মইন উদ্দিন, রাগিব আহসান (সিটি টোল), সজিব হাসান, নুর আহসান ওরফে বাবুল সিটি টোল, শাহাদত আহসান ছোট বাবু, মো. মাহিম প্রদীপ, বিপুল আহসান, শরিফ আহসান, জগৎ, মো. মোস্তফা, সালাম, আবু হানিফ সেতু, হাসেম, রোকনুজ্জামান রোকন, মো. আশিকুল ইসলাম খোকন, মেহেদী হাসান, সাদ্দাম হোসেন, লাবলু, আবুল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির, আবুল কালাম আজাদ, গাজী শামীম, গাজী সুমন, মনির (কালা মনির), মো. মাহমুদ, জসিম মিয়া, রফিকুল ইসলাম মঞ্জু, মো. সজল শেখ, আনোয়ার মিয়া, মো. রমজান আলী, বাহার, পারভেজ, জমির আলী, গৌরব, আলামিন, মো. রাজিব, আজিজুল রহমান উজ্জল, আব্দুল বাসেত বাচ্চু, সিরাজ, মো. আজিবর রহমান, দেওয়া আতিকুর রহমান আখি,দেওয়ান রাকিবুর রহমান রাকি, আলমগীর হোসেন, কাউসার প্রধান, আলী হোসেন, মো. বাদল মুনসী, বাদশা শেখ কসাই, মো. ইমন, মো. মাসুদ পারভেজ, নুর আলম, আফসার আলি বিশ্বাস, মাসুম, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মজিবর, হাজী সুলতান মিয়া, রোমন মাতবর, কালাম, সঞ্জয় দাশ, রকি, সেন্টু, মো. আরশেদ আলী, রাজিব খান, আব্দুল কাদির, মো. চান মিয়া, আশালতা বৈদ্য, নাসির উদ্দিন বাদল, আবু বকর সিদ্দিক আবু, মানিক মিয়া।