মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

রাজবাড়ীতে জেলা উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড কমলকৃষ্ণ গুহের স্মরণে সভা ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের আজাদী ময়দান সংলগ্ন সংগঠনটির কার্যালয়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাজবাড়ী জেলা সংসদের উদ্যোগে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজবাড়ী জেলা উদীচীর সভাপতি প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহমেদ।
এতে স্মৃতিচারণমৃলক বক্তব্য দেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুস সামাদ মিয়া, মহিলা পরিষদের নেত্রী দেবাহুতি চক্রবর্তী, জেলা উদীচীর সাবেক সভাপতি ডা. সুনীল কুমার বিশ্বাস, রাজবাড়ী থিয়েটারের সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী বাবলা,  জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মো. মোস্তফা, বিশিষ্ট লেখক ও  সাংবাদিক বাবু মল্লিক, জেলা উদীচীর সহ-সভাপতি কমলকৃষ্ণ গুহের স্ত্রী সবিতা চন্দ্র গুহ, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মন্ডল, রাজবাড়ী লেখক-পাঠক কেন্দ্রের সভাপতি কবি নেহাল আহমেদ, জেলা উদীচীর সহ-সভাপতি আজিজুল হাসান খোকা। সভা সঞ্চালনা উদীচীর নাটক ও আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক কণা রাণী দাস।

সভায় বক্তরা বলেন, কমলকৃষ্ণ গুহ ছাত্র জীবন থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র  ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এরপর তিনি ন্যাপের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। পরে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন। তার হাত ধরেই রাজবাড়ীতে উদীচী প্রতিষ্ঠিত হয়। তার চিন্তা চেতনা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন রাস্ট্র গঠনের। বর্তমান সময়ে দেশে একটি রাজনৈতিক সংকট চলছে। এই দুঃসময়ে প্রগতিশীল সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। কমলকৃষ্ণ গুহের আদর্শে আমাদের আদর্শিত হতে হবে। রাজনীতির সাথে সংস্কৃতির একটি মিলবন্ধন থাকতে হবে। সংস্কৃতির চর্চা ছাড়া কখনোই সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব নয়।

আলোচনা শেষে ভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ জন শিক্ষার্থীকে কমলকৃষ্ণ গুহ মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়। শেষে উদীচীর শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করেন।