ওয়াসিম সেখ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৫ নং খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের তত্বাবধানে ২০২৪/২৫ অর্থ বছরের টি আর প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবয়ড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন দিয়াড় পাঁচিল নতুন পাড়া রাস্তার কাজের উদ্বোধন করা হয় গত কাল।
এবিষয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা কমান্ডার, সদর থানা (অফিসার ইনচার্জ), সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি), ইউপি প্রশাসক ও জেলা বিএনপি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর এর প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির মালিক আল আমিন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, আর এস খতিয়ান ২৫০ দাগ ৪৮৭ দাগের ০.৪০০০ একর ভূমি আলতাব গং রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিক। এর মধ্যে কিছু অংশ আবাদী জমি ও বাড়ী করে ভোগ দখলে আছেন তাঁরা৷ চলাচলে সুবিধার্থে জমির পাশ দিয়ে পায়ে হাটা রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়। ওই নিজ জমির উপর দিয়ে পরিষদ কর্তৃক ১০ ফুট চওড়া করে রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি খাস জমির উপর ২০১৮/১৯ অর্থবছরে নির্মিত কালভার্টের ৪০ ফুট মাটির রাস্তা ও গাইড অল নির্মাণের কাজ শুরু করেন যাহা পুরোটাই সরকারি খাস জমির উপরে।
অভিযোগের আলোকে মোঃ আল আমিন হোসেন (রতন) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমাকে কেউ ভয় ভীতি দেখায় নাই, আমার জায়গার উপরে এখন কোন কাজ করা হচ্ছে না। রাস্তায় এবং গাইড ওয়াল পুরোটাই সরকারি খাস জমির উপরে তবে খাস জমি শেষে আমার জায়গা। কালভার্টে উঠতে গেলে আমাদের জায়গা ব্যবহার করতে হবে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, ব্রাহ্মণবয়ড়া ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশে সরকারি খাল ছিলো ২০১৮/১৯ অর্থবছরে মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে তার উপর কালভার্ট তৈরি করেছিল তখন কেন অভিযোগ করেনি কিন্তু এখন শুধু দুই সাইডে মাটি সরে যাওয়ায় এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য ২০২৪/২০২৫ অর্থ বছরের টি আর প্রকল্পের আওতায় ৪০ ফুট মাটির রাস্তা ও গাইড অল নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে মোঃ ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আল আমিন ওরফে রতন আমাকে বলেন এই কাজ আমাকে দিলে কাজ হবে না হলে এই কাজ আমি করতে দেব না।
অত্র এলাকার প্রবীণ মুরুব্বী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, কাজ হচ্ছে সরকারি জায়গায় আমরা সবাই সাথে থেকে কাজ উদ্বোধন করেছি। আলামিনদের জায়গাতে তো তারা কাজ করছে না, আলামিন তো নিজেই দেখিয়ে দিল যে এইখান পর্যন্ত আমাদের জায়গা ওখানে বাউন্ডারি ইটও আছে।
আরো এক প্রবীণ মুরুব্বী আব্দুল খালেক তালুকদার জানান, লোকজন যাতে ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারে যার কারণে সাইডে মাটি ফেলা হচ্ছে। এটাতো রতনদের জায়গার উপরে করতেছে না।
এসব বিষয়ে খোকশাবাড়ী ইউপি প্রশাসক সাইদী রহমান বলেন, আমরা কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার উপরে সরকারি স্থাপনা করব না, সরকারি জায়গা যতটুকু আছে ততটুকুর ভেতরে টি আর প্রকল্পের কাজ করা হবে।
অভিযোগ নিয়ে জনমতের নানা কৌতুহল নিয়ে বলছে আল আমিন ওরফে রতন, সরকারকে প্রশাসনকে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেকায়দায় ফেলতে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।