রাজবাড়ীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আহুত স্মরণসভার তারিখ ও সময়ে আওয়ামীলীগের সভা আহবানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি (একাংশ)। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের শহরের সজ্জনকান্দায় নিজ বাসভবনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নঈম আনসারী, জেলা কমিটি নেতা আসাদুজ্জামান লাল, এবিএম মঞ্জুরুল আলম, আফসার আলী সরদার, গাজী আহসান হাবীব। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক লিয়াকত আলী ও সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। সারাদেশের মতো রাজবাড়ীতে কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। কর্মসূচির অংশহিসেবে মঙ্গলবার জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শোক র‌্যালি করার কথা ছিল। এতে করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়। কিন্তু বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির দিনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ষড়যন্ত্রমূলক ও সুপরিকল্পিত ভাবে আমাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য পৌর আওয়ামীলীগের ব্যানারে হঠাৎ একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে রাজবাড়ীতে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তিনি বলেন, দেশে একটি ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ সরকার বিদ্যমান। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় পরিকল্পিতভাবে সাজা দিয়ে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। সারাদেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানী ও নির্যাতন করে হচ্ছে। দেশের মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচারের ভিত্তিকে পাকাপোক্ত করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ। মানুষ আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডে ভীষণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে পড়েছে। ঠিক তখনি আওয়ামীলীগ ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে দমন, পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, এসব করে আওয়ামীলীগের শেষ রক্ষা হবে না।
বিএনপির কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশ্যে হুট করে কর্মসূচি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত ভাষায় কথা বলছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নানা ধরণের কূটক্তি করছেন। এসব আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। বিএনপির কোনো কর্মকান্ডই গণতান্ত্রিক নয়।