মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :
রাজবাড়ীতে জাটকা আহরণের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ের ভিজিএফ’র চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন মৎস্যজীবীরা। সোমবার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ করেন কার্ডধারী মৎস্যজীবীরা।
এসময় মৎস্যজীবীরা বলেন, এর আগে সর্বশেষ বার যে চাল দেওয়া হয়েছিল আমরা সেটা পেয়েছি। কিন্তু এইবার আমাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। যাদেরকে চাল দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই জেলে না। কেউ রিক্সা চালায়, কেউ দোকান করে এমন লোকদের চাল দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সামাদ আলী সরদার নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই এই চাল পেয়ে আসছি। এইবার মৎস্য অফিসার আমাদেরকে বলেছেন তালিকায় নাকি আমাদের নাম নেই। আমরা জাটকা মাছ ধরতে পারবো না। বাজারে বিক্রি করতে পারবো না। আবার চালও পাবো না। তাহলে আমরা খাবো কী।’
পদ্মা রাণী নামে আরেক মৎস্যজীবী এ বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা মাছের বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রি করে, মুদির দোকানদারি করে, রিক্সা চালায়, মিস্ত্রির কাজ করে এসব লোককে চাল দেওয়া হয়েছে। আমাদের মাছ মারা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা অসহায় মানুষ। আমরা এখন ছেলে-মেয়ে পরিবার নিয়ে চলবো কীভাবে।’
রাজবাড়ী সদর উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার হালিমা সরদার জানান, সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৩০০ জন নিবন্ধনকারী মৎস্যজীবী রয়েছে। এর মধ্যে যে সব মৎস্যজীবীরা শুধুমাত্র জাটকা আহরণ করেন তাদেরকে এই ভিজিএফ’র চাল দেওয়া হচ্ছে। ৮ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এসময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের দুই ধাপে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এটি দ্বিতীয়বার চলে। এইবার মোট ১ হাজার ৪০০ জন মৎস্যজীবীদের জন্য ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। একারণে সকলকেই এই সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না।