রাজবাড়ীতে ওএমএস, টিসিবি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিক্রয় কার্যক্রম উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং  অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুপুর ১টায় প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রেসব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহাবুর রহমান শেখ। এসময় জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এ কে এম শাহনেওয়াজ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মার্জিয়া সুলতানা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (পিএফডিএস) আওতায় খোলা বাজারে খাদ্য শস্য বিক্রয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খাদ্য শস্যের বাজার মূল্য উর্ধ্বগতির প্রবনতা রোধ করে নিন্মআয়ের জনগোষ্টিকে মূল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনমাস ওএমএস, টিসিবি এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে একজন ভোক্তা পাক্ষিক ভিত্তিতে ৫ কেজি করে মাসে ১০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা।
তিনি বলেন, রাজবাড়ীতে মোট ৩১জন ডিলারের মাধ্যমে ৩৪ মেট্টিক টন চাল বিক্রি করা হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। শুক্রবার ও শনিবার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি পৌরসভা ও উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে।
সদর পৌরসভায় ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ মেট্টিক টন, পাংশা পৌরসভায় চারজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৮ মেট্টিক টন, গোয়ালন্দ পৌরসভায় চারজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৮ মেট্টিক টন, কালুখালী উপজেলায় দুইজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন চার মেট্টিক টন, বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরে দুইজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন চার মেট্টিক টন বিক্রয় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে জেলায় মোট ১১৩জন ডিলারের মাধ্যমে ৫৬ হাজার ৪৭৭ জন কার্ডধারীর মধ্যে ১৬৯৪.৩১০ মে. টন চাল বিক্রি করা হবে। শুধুমাত্র কার্ডধারীরা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ১৫ টাকা দরে ক্রয় করতে পারবেন। এ কর্মসূচির কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২৯জন ডিলারের মাধ্যমে ১২ হাজার ৬০৩জন কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭৮.০৯০ মে. টন, পাংশা উপজেলায় ৩৩জন ডিলারের মাধ্যমে ১৭ হাজার ১০জন কার্ডধারীর মধ্যে ৫১০.৩০০ মে. টন, গোয়ালন্দ উপজেলায় ১২জন ডিলারের মাধ্যমে ছয় হাজার ৯১জন কার্ডধারীর মধ্যে ১৮২.৭৩০ মে. টন, কালুখালী উপজেলায় ২৫জন ডিলারের মাধ্যমে ১২ হাজার ৮৩৬জন কার্ডধারীর মধ্যে ৩৮৫.০৮০ মে.টন এবং বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৪জন ডিলারের মাধ্যমে সাত হাজার ৯৩৭জন কার্ডধারীর মধ্যে ২৩৮.১১০ মে.টন চাল বিক্রয় করা হবে।