মামুন আহমেদ.

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাঙ্গাচুরা ঝুঁকিপূর্ণ মাটিরঘর সহ নানাবিদ সমস্যার কারনে শিক্ষকগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছেন, যে কোন সময় দেয়াল ধসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে গ্রামের কিছু শিক্ষানুরাগী মানুষ ওই বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। সেই থেকে এলাকার ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করে বিদ্যালয়টি সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রাম সহ এলাকার আশে পাশের শিক্ষিত বেকার যুবকের চাকরীর সুযোগ হয়েছে বিদ্যালয়টিতে। কিন্তু বর্তমানে মাটির দেয়ালের টিনের ছাউনীতে মরিচিকা ধরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যার কারনে বর্ষার সময় সরাসরি বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে, এতে করে ছাত্র/ছাত্রীরা ক্লাশ করতে পারে না। এমনকি দেয়াল ফেটে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে, তা নিয়েই চলছে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান। যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে। বিদ্যালয়টিতে ৫১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে, প্রতিবছরই বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে উপজেলার সুনাম অর্জন করে আসছে। এছারাও গত বছর এসএসসি পরিক্ষায় বিদ্যালয়টি থেকে ৪ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল, চলতি বছরে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে ১১৪ জন। বিদ্যালয়টির জন্য নতুন ভবন অত্যান্ত জরুরী। এলাকাবাসির দাবি তুলে বলেন, আমাদের এই বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যান্ত ঝঁকিপূর্ণভাবে স্কুলে এসে শিক্ষা গ্রহণ করেন, খুব দ্রæত বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মান করা প্রয়োজন। বিদ্যালয়টিতে ১২ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান এই প্রতিনিধিকে জানান, ভাঙ্গাচুরা মাটির ঘরে ক্লাশ করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এছারাও বেশিরভাগ শিক্ষক কর্মচারী বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জিবন জাপন করতে হচ্ছে।। এই বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোঃ এহতেশামুল আলম বাবু বলেন, এমপির দেওয়া বরাদ্দের টাকায় কিছুটা উন্নয়নমূলক কাজ করা হলেও বর্তমানে স্কুলের কোন আর্থীক তহবীল না থাকায় স্কুলের ভাঙ্গাচুরা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা। জিবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে। বর্তমানে স্কুলটিতে নতুন ভবন নির্মান করা জরুরী। এই বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।