তৌহিদুর রহমান , শেরপুর প্রতিনিধি :

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ফাকরাবাদ মিফতাজুল উলুম মাদ্রাসার রাকিবুল হাসান(১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে উক্ত মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের প্রস্তাব করায় পিটিয়ে আহত করলেন ওই মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম(৫১)কে। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী রাকিবুল হাসানকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক ওই শিক্ষার্থী নালিতাবাড়ী উপজেলার সমশ্চুড়া গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।

বর্তমানে আহত মোহতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম ঝিনাইগাতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে ঘাতক ছাত্র রাকিবুল হাসান থানা হাজতে আছে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সুত্রে জানা গেছে, গত ১৫/২০ দিন পূর্বে রাকিবুল হাসান একই মাদ্রাসার সাবেক মোহতামিম মাওলানা ইউসুফের সুপারিশে এ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকেই রাকিবুলের নানারুপ অছাত্রের আচরণে ক্ষুব্দ হন এ মাদ্রাসার বর্তমান মোহতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম। বিষয়টি তিনি তার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর
রাকিবুলকে এই মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাকে অপেক্ষমান রাখা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে রাকিবুল শুক্রবার দিবাগত রাতে প্রমান লোপাট করার জন্য প্রথমে ওই মাদ্রাসার সিসি ক্যামারা ও ডেক্সটপ ভেঙ্গে ফেলে। পরে শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার সময় ফজরের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রাকিবুল হাসান লোহাড় রড দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করে মাওলানা আমিরুল ইসলামকে। পরে রাকিবুল হাসান পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী রাকিবুল হাসানকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।

ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত ছাত্র রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে মালমা দায়েরের পর শনিবার দুপুরে শেরপুর কোর্টে সোর্পদ করা হয়েছে।