শোয়েব হোসেনঃ

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এর জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বিদ্যাপীঠ সাহিত্য পরিষদ’ এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিদ্যাপীঠ সাহিত্য পরিষদ’ এর আয়োজনে বিশেষ একটি শুভক্ষণে ‘অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননা তেইশ’ অনুষ্ঠিত হয়।

‘বিদ্যাপীঠ সাহিত্য পরিষদ এর অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননা তেইশ’ অনুষ্ঠানে একাধীক সাহিত্য ব্যক্তিত্ব গুণীজন স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন এবং ডাঃ মমতাজ রহমান বিখ্যাত রুশ কবি আলেকজান্ডার পুশকিনের কবিতা ‘আমি একটি বিস্ময়কর মুহূর্ত মনে করি’ কবিতাটি তিনটি ভাষায় (বাংলা, ইংরেজি ও রাশিয়ান) আবৃত্তি করে উপস্থিত সকলের হৃদয় জয় করে নেন।
এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলাদেশ সরকারের মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক ‘ভোরের সময়’ পত্রিকার সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পাদক-বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার জনাব এম. আর. সুজন দাদু, বিশিষ্ট কবি-বাচিকশিল্পী ও সংগঠক বিথী চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক মাহবুবা হাবিবা, বিশিষ্ট কবি হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট কবি ও বাচিকশিল্পী সাবিনা আফরিন, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক ফরিদা রহমান, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক হাসানুর রহমান হাসান, বিশিষ্ট গীতিকার ও কবি আব্দুল আওয়াল মন্ডল, বিশিষ্ট কবি ও কন্ঠশিল্পী সানোয়ার হোসেন নয়ন, বিশিষ্ট কবি ও কন্ঠশিল্পী লিপি আক্তারসহ অন্যান্য গুনীজনবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব সেহলী পারভীন সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য গুণীজনদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেন। তিনি সাহিত্য ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় দৈনিক ‘ভোরের সময়’ পত্রিকার সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পাদক-বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার এবং ‘সুজন দাদু ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব এম. আর. সুজন দাদুর হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেন। আরো যে সকল গুণীজন সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন তারা হলেন, বিশিষ্ট কবি-বাচিকশিল্পী ও সংগঠক বিথী চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি ও চিকিৎসক ডাঃ মমতাজ রহমান, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক মাহবুবা হাবিবা, বিশিষ্ট কবি হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট কবি ও বাচিকশিল্পী সাবিনা আফরিন, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক ফরিদা রহমান, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক হাসানুর রহমান হাসান, বিশিষ্ট গীতিকার ও কবি আব্দুল আওয়াল মন্ডল, বিশিষ্ট কবি ও কন্ঠশিল্পী সানোয়ার হোসেন নয়ন, বিশিষ্ট কবি ও কন্ঠশিল্পী লিপি আক্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব সেহলী পারভীন তার বক্তব্যে বলেন, শত শত গুণীজনদের উপস্থিতির এমন একটি অনুষ্ঠানে আতিথি হয়ে আসতে পেরে নিজেকে অত্যান্ত ভাগ্যবতী মনে করছি। সেই সাথে আমি আপনাদের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ রাখছি শুদ্ধ বাংলা সাহিত্য চর্চ্চায় যেন যুব তরুনরা এগিয়ে আসতে পারে সেজন্য তাদের সার্বিক ভাবে আপনারা গুণীজনদ্বয় আন্তরিক ভাবে সব সময় তাদের সহায়তা প্রদান করবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আজ খুব বেশি আনন্দিত হয়েছি ডাঃ মমতাজ রহমান এর কন্ঠে বিখ্যাত রুশ কবি আলেকজান্ডার পুশকিনের কবিতা ‘আমি একটি বিস্ময়কর মুহূর্ত মনে করি’ কবিতাটি তিনটি ভাষায় (বাংলা, ইংরেজি ও রাশিয়ান) আবৃত্তি। তার আবৃত্তি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে।

এদিকে বিশিষ্ট কবি ও বাচিকশিল্পী এবং ‘সুজন দাদু ফাউন্ডেশন’ এর কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি জনাব বিথী চৌধুরী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি এই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের নিকট থেকে সম্মাননা পুরস্কার এবং সনদ গ্রহন করলাম। এত গুণী একজন মানুষের সাহচার্যে এসে আমি অভিভূত। সব সময় শুভকামনা থাকবে এই মানবিক মানুষটির জন্য। আমি তার মতো একজন মানবিক বোধ সম্পন্ন নেতৃত্বের দেখা পাবো ভাবিনি। তার সাথে পরিচিত হতে পেরে আমি আনন্দিত বোধ করছি, আমি আজ স্বার্থক।

এদিকে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশিষ্ট কবি ও চিকিৎসক ডাঃ মমতাজ রহমান বলেন, অসম্ভব গুণী, অত্যন্ত মেধাবী, মিষ্টভাষী এবং বিশাল হৃদয়ের অধিকারি আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রধান আতিথি জনাব সেহলী পারভীন। উনার হাতে থেকে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ গ্রহন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি যখন তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করছিলেন, তার প্রতিটি কথাই যেন আমার মনের কথা। দারুণ সুন্দর এবং এমন সাবলীল চিত্তে তার মূল্যবান বক্তব্যগুলো পেশ করছিলেন যে আমরা মনমুগ্ধকর চিত্তে শুনছিলাম। মানুষকে ভালোবাসা এবং নারী জাতিকে সম্মান করা, শিল্প সাহিত্য চর্চাতো এর মাঝেই। আর আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিলো যখন এই স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব আমার নাম ধরে আমার কবিতা আবৃতির প্রশংসা করছিলেন। এতো কবি আর কবিতার ভীড়ে তিনি আমার আবৃত্তির বিষয়বস্তু ভুলেননি, ভুলেননি আমার নাম। এই অনুষ্ঠানে আমার আরও একজন মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে। তিনি হলেন আমাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার এবং ‘সুজন দাদু ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব এম. আর. সুজন দাদু। পরিচয়ের শুরুতেই তার কাছে থেকে আমি নাতনীর ভালোবাসা পেয়েছি, আমিও উনাকে দাদুভাই ডেকেছি, উনার মতো একজন সাহিত্য সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব, গুনী ও মানবিক মানুষটির সাহচার্যে এসে আমি অভিভূত। এই মানবিক মানুষটির জন্য সব সময় শুভকামনা থাকবে আমার।

দৈনিক ‘ভোরের সময়’ পত্রিকার সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পাদক-বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার এবং ‘সুজন দাদু ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব এম. আর. সুজন দাদু বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিদ্যাপীঠ সাহিত্য পরিষদের সকল গুণীজনদের। যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এত সুন্দর একটি গুণীজনদের মিলনমেলা ও সম্মননা প্রদান অনুষ্ঠান সবাই উপভোগ করতে পেরেছেন। বিশেষ করে বিদ্যাপীঠ সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা জনাব আব্দুর রহমান নির্জয় ও সভাপতি মাহবুবা হাবীবার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকর সংস্থা ‘হিউম্যান এইড এন্ড ইন্টারন্যাশনাল’ এর সম্মানিত মহাসচিব জনাব সেহলী পারভীন। বিশেষ আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক জনাব আব্দুল মান্নান, কবি ও সাহিত্যিক জনাব জিল্লুর রহমান, সাহিত্য অনুরাগী ও সমাজসেবিকা জনাব মাকসুদা হাবিবা, হিউম্যান এইড এর যুগ্ন মহাসচিব জনাব খান মোঃ আমজাদ হোসেন, কবি ও সাহিত্যিক জনাব হুমায়ুন কবির প্রমূখ।