সাজ্জাদ হোসেন (সাবু) গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ডিলারের বিরুদ্ধে টিসিবি’র কার্ডধারীদের মাঝে পঁচা দুর্গন্ধ নিন্মমানের মশুর ডাল বিতরনের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সরকার চলমান টিসিবি’র পন্যে’র প্যাকেজ রমজান মাসে বিতরণ শুরু করেছে। প্রত্যেক প্যাকেজে আছে সোলা বুট ১ কেজি, মশুর ডাল ২ কেজি, চিনি ১ কেজি, সয়াবিন তৈল ২ কেজি। প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য ৪৭০ টাকা।

গত ৩০ মার্চ উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি’র ২০৩৩ জন কার্ডধারীর মাঝে এ পন্য বিতরনের সময় ধরা পড়ে পঁচা দুর্গন্ধ নিন্মমানের মশুর ডাল।

খবর পেয়ে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সনজীব হোসেন পলাশসহ কয়েক জন ইউ’পি সদস্য এসে রিলিফ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা আইসিটি অফিসার রবিউল ইসলামের মাধ্যমে বিতরন বন্ধ করে দেন। এ সময় ডিলার শহিদুল ইসলামের লোকজন তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে তারা অভিযোগ করেন।

টিসিবি পন্যের কার্ডধারী শাহ আলম প্রধান অভিযোগ করে বলেন, ডিলার শহিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি’র পন্য বিতরণ শুরু করে। তিনি টিসিবি পন্যের প্যাকেটে পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে খুলে দেখতে পান মশুর ডালে পঁচন ধরেছে।

শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সনজীব হোসেন পলাশ জানান, টিসিবি’র পন্য কার্ডধারীদের মাঝে পঁচা দুর্গন্ধ নিন্মমানের মশুর ডাল বিতরণের বিষয়টি জানতে পেয়ে কয়েকজন ইউ’পি সদস্যকে সাথে নিয়ে পরিষদে এসে রিলিফ অফিসারকে বলে এসব পন্য বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় ডিলারের লোকজন তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

শালমারা ইউনিয়নের টিসিবি পন্যে’র ডিলার শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কিভাবে এসব নিন্ম মানের মশুর ডাল এসেছে তা আমার জানা নেই। তবে যেসব প্যাকেট খারাপ, সেসব প্যাকেট বাছাই করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ফেরত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাকে নির্দেশ দিয়েছে।

রিলিফ অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক ইউএনও আরিফ হোসেনকে জানান এবং মশুর ডাল বাদে প্যাকেজের অন্যান্য পন্য কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করতে ইউএনও বলেন।
গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটি’র আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লার কাছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় সব ইউনিয়ন থেকেই এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রমজান মাসে কি ভাবে পঁচা দুর্গন্ধ মশুর ডাল ডিলারেরা পেয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
উপজেলা ইউএনও আরিফ হোসেনের কাছে মুঠোফোনে এ বাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। তবে মশুর ডাল বাদে ডিলারকে অন্য পন্য বিতরণ করতে বলা হয়েছে।