মোঃ তরিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশের ছেলের প্রেমের টানে পড়ে ধর্মত্যাগ করলেন বিয়েও করলেন ফিলিপিনো তরুণী। ৩. ০৯.২০২৩ সেপ্টেম্বর জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এসে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করেছেন এনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৯) নামের ফিলিপাইনের এক তরুণী। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা শহরের ভাড়া বাসায় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তার নাম রাখা হয় মরিয়ম আমান।

ওই যুবকের নাম আব্দুল্লাহ হেল আমান (৩৮)। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলার শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। দুই বছর আগে সৌদি আরবে অবস্থানকালে ফিলিপাইন ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আব্দুল্লাহ হেল আমান জানান, সৌদি আরবে এক বন্ধুর মাধ্যমে ফেসবুকে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রায় আমাদের কথা হতো। এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব পরে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। এরপর আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই।

সেই মোতাবেক শনিবার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় মারিয়া। এরপর রোববার সকালে তাকে বাসায় নিয়ে আসি। পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় যোহরের নামাজের পর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক আমরা বিয়ে করি।

এ বিষয়ে আনা মারিয়া ভেলাস্কো জানান, সৌদি আরবে চাকরি করতাম। ফেসবুকে আব্দুল্লাহ হেল আমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার আগেই আমি খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। এরপর বাংলাদেশে এসে তাকে বিয়ে করেছি। আমি এ সম্পর্কে খুব খুশি।

আমানের মা নাসরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানাই। ছেলেকে বিয়ে করার জন্য। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি আমরা খুব সহজভাবে নিয়েছি। কারণ আমার ছেলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্ত্রী ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে রেখে চলে যায়।

আমানের ছোট ভাই নুর-ই নসিব সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৯ সালে আমার ভাইয়ের স্ত্রী চলে যায়। পরে তিনি আমাদের ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা ও বিয়ে করবে বলে জানায়।এটা শুনে আমরা খুব খুশি ।

প্রতিবেশী শাহ্ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমান বিয়ে করেছে শুনে দেখতে এসেছি। পরিবারের সবাই মেনেও নিয়েছে বিষয়টা। আমাকে অনেক ভাল লেগেছে। তারা যেন সুখে শান্তিতে থাকে।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি তিনি নিজের ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছেন।