মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আহ্বায়ক। বাংলাদেশের ইতিহাসের যত আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ব্যক্তিত্ব হলেন মো: ময়েজউদ্দিন। আমাদের রাজনীতির সঠিক পথ অনুসরণ করার জন্য ময়েজউদ্দিনকে স্মরণ রাখতে হবে।

আজ ২৬ শে সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব আবদুস সালাম হলে শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের শান্তি,ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেন শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে আতাউর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান টি অনুষ্ঠিত হয়েছে।      মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন : দৈনিক অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন।

আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস. এস. রবীন হোসেন, মাজারুল ইসলাম সোহেল, কালীগঞ্জ থানা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর চৌধুরী, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি জুয়েনা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঝর্না বাদল,সহ-সভাপতি মরিয়ম বেগম, সাংগঠিনিক সম্পাদক শিখা বেগম, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আনোয়ার প্রমুখ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের এই ৫৩ বছরের ইতিহাসের যত আন্দোলন সংগ্রাম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একজন ব্যক্তিত্ব হলেন মো: ময়েজউদ্দিন। তিনি ছিলেন একজন কর্মি বান্ধব নেতা। তিনি আরো বলেন, আমরা যারা বিশেষ করে ৮০ দশক থেকে সাংবাদিকতা করি, তারা দেখেছি একটি মৃত্যু আন্দোলনকে কিভাবে নতুন একটি ডায়মেনশন দিতে পারে। সেরকম একটি ঘটনা ছিল মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন এর হত্যাকাণ্ড।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এরশাদ বিরোধী হরতাল চলাকালীন সময়ে মিছিলে হামলা করে মিছিল কে ছত্রে ভঙ্গ করে দেয়, গণআন্দোলন চলাকালে তৎকালীন সরকারের ছত্রছায়ায় লালিত সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের রাজ পথে এড্য: মো: ময়েজউদ্দিন শহীদ হন। তিনি ছিলেন এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণআন্দোলনের প্রথম শহীদ রাজনীতিবিদ।

শহীদ মো : ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুর পর জাতী হারালো এক সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিকে,যা কোন দিন পুরুন হবার মতো নয়। কালীগঞ্জের মাটিতে এ-রকম ন্যাকারজনক হত্যাকান্ড যেন না হয়, এবং ৫২ ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদ,, ১৯৭১ স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদের,১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর পরিবারের সকালে শহীদ দের এবং ২৭ শে সেপ্টেম্বর শহীদ মো : ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন, আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।