রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম তিনরাস্তার মোড়ে এক শ্রমিকলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
১৫ ই অক্টোবর রোববার দিবাগত রাতে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল আজিজ মহাজন। তার বাবার নাম আজের আলী মন্ডল। আজিজ নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ভূমিহীনদের পক্ষে আন্দোলন করতেন। তিনি নারুয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গড়াই নদী। গড়াই নদীর চর নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন আবদুল আজিজ মহাজন ও চাষী আমজাদ। অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন শাহাদত হোসেন মাস্টার ও রেজাউল ইসলাম। আবদুল আজিজ পাশের মরাবিলা গ্রাম থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফিরতে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মোহন নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। রাত ৮টার দিকে কোনাগ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে ইলিয়াসের দোকানের পাশে পৌছালে বাঁশ দিয়ে তাঁর গতিরোধ করা হয়। এসময় তিনি মোটর বাইক থেকে পড়ে যান। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আবদুল আজিজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, চর ও জমিজমা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। তবে এই হত্যাকান্ড রাজনৈতিক কারণে করা হয়নি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি. এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, খাস জমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দিতেন আজিজ মহাজন। রাতে রাস্তায় গতিরোধ করে তাকে পায়ে কোপানো হয়। মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঢাকা নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এ সংক্রান্তে নিহতের ভাই আব্দুর রহমান বাদি হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।