রুহুল আমিন স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারের ৫২ বিঘা জমির মধ্যে ২০ বিঘা জমি নিয়ে ২শত বছরের ঐতিহ্যবাহী উথলী হাটে মাছের মেলা বসে। সে হাটে হিন্দু পুঞ্জিকামতে পহেলা অগ্রাহন নতুন ফসল ঘরে তুলার আনন্দে উক্ত হাটে মাছ ও মৌসুমী সবজির বিশাল পরসা বসিয়ে বেঁচা কেনা করা হয়। এ উপলক্ষে হাটে ছোট পরিসরে মেলাও অনুষ্ঠিত হয়।

বৃটিশ শাসন আমলে অবিভক্ত বাংলার পোলাদেশী পরগোনার অর্ন্তভূক্ত ছিল কলকাতার লক্ষীবারেরর জমিদার বুথ সিং বুথরাজ এই জমিদারের এই এলাকা তার পরগোনা হওয়ায় জমিদারী পরিচালনা করে আসছিলেন। এলাকাটি হিন্দু বিদ্দেশিত এলাকা ও কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি এলাকা এবং নদী মাতৃক যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার কারণে এক সময়ের খড় স্রোতা করতোয়া নদীর পূর্ব পার্শ্বে জেগে উঠে বালু চড়ে প্রায় ২শত বছর আগে জমিদার পুত্র খড়গো সিং বাবার নির্দেশে এলাকা পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনে এসে এলাকার জনসাধারণের আথিতওতায় মুগ্ধ হয়ে ৫২ বিঘা জমি হাটের নামে উইল করে দেন। তখন থেকেই হিন্দু বিদ্দেশিত এলাকা হওয়ায় হিন্দু শাস্ত্রমতে পহেলা অগ্রাহয়ন ফসল ঘরে তুলার আনন্দে নবান্ন উৎসবের প্রচলিত হয়। সেই থেকে আজ অবদি ২শত বছর যাবৎ এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলা উপলক্ষে এলাকার হিন্দু মুসলিম পরিবারের মেয়ে জামায় আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে থাকেন এলাকাবাসী। আর এই উপলক্ষে এই হাটে বসে বিরাট মাছের মেলা ও নতুন মৌসুমী সবজির বাজার। বাজারটি ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায় এবারেও ঐতিহাসিক উথলী হাটে গত বিভিন্ন স্থান থেকে মাছসহ মিষ্টি, শাকসবজি আসতে থাকে। সূর্য উদয়ের সাথে সাথে ক্রেতা বিক্রেতাদের ঢল নামে এ নবান্ন হাটে। নবান্ন উপলক্ষে হাটে বড় বড় মাছসহ বিপুল পরিমান চিড়া, মুড়ি, দই, শীতকালীন শাক সবজি সহ নানা ধরণের খাবারের পসরা সাজিয়ে ক্রেতা বিক্রেতায় মুখরিত হয়েছিল উথলী হাট। এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বেশি ক্রয় করেছে দই, চিড়া ও মুরকি।