রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঢাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান, জেলা শিল্প কলার সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল,  জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতীম দাস, আলী রেজা, শেখ তুষারসহ সংস্কৃতিক কর্মীরা।
মেলায় সতীন কাটা, পাটিসাপটা, বালসাঁই, পাকান পিঠা, ভাপা পিঠা, চিকেন কিমা, লবঙ্গ লতিকা, সূর্যমূখী পিঠা, সুজির নাড়–, পদ্মা কন্যা, বাহারী কদম, তাল প্যারাসহ নানা রকম পিঠার পসরা বসানো হয়। পিঠা খেতে ও দেখতে জড়ো হন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। কেউ এসেছেন বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে। আবার কেউ কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্য নিয়ে। অনেক মানুষের পদচারণায় মিলনায়তন প্রাঙ্গন উৎসবমূখর হয়ে উঠে।
সংস্কৃতিকর্মী কবি নেহাল আহমেদ বলেন, পিঠা বাঙালীদের একটি সুস্বাদু খাবার। এটি আমাদের গ্রামগুলোতে খুব প্রচলিত ছিল। বিভিন্ন কারণে আমাদের নাগরিক জীবনে পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন পিঠা বিক্রির আয়োজন করা হয়েছে। এটি খুব ইতিবাচক দিক। তবে পিঠা তৈরির ক্ষেত্রে হাইজেনিক বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তা লিপি আক্তার বলেন, এখানে এসে খুব ভাল লাগছে। অনেক পিঠা তৈরি করে আনা হয়েছে। পিঠাগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেখতে ভাল লাগছে। আমি কয়েক প্রকারের পিঠা কিনেছি। বেশ সুস্বাদু। বাড়িতে এখন সময়ের অভাবে পিঠা খুব একটা তৈরি করা হয়না। এজন্য বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পিঠা কিনেছি।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনের কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতীম দাস বলেন, পিঠা উৎসব চলবে তিনদিন। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। শনিবার রাতে পিঠা উৎসবের সমাপনী হবে।