রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনীতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সোমবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছোট নূরপুর গ্রামে। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর সদর উপজেলার চন্দনী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মজিদ শেখের ছেলে আনোয়ার হোসেনের (৩৮) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আনোয়ার হোসেনকে ১৫ লাখ টাকার সোহার গহনা, ফার্ণিচার ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। আনোয়ার পরনারীতে আসক্ত হয়। প্রায় মাস ছয়েক আগে ওই গৃহবধূর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতার কথা জানালে তিন মাস আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২৭ এপ্রিল গৃহবধূও বাবার বাড়িতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন ওই গৃহবধূকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। গলার ওড়না পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। ৩০ এপ্রিল রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আনোয়ার হোসেনসহ আরও দুইজনকে আসামী করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) সেলিম হোসেন বলেন, বিকেলে ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।