মোহাম্মদ আলী উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি:

বগুড়ায় মাত্র চারশত টাকার জন্য খুন হন কলেজ ছাত্র আশিক।শাজাহানপুরে চাঞ্চল্যকর ওই কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও একজন আসামি পলাতক রয়েছে।হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ২টি চাকু,ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন: উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পরানবাড়ীয়া পূর্বপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে মো: কাউছার (২২),একই ইউপির ঝালোপাড়া গ্রামের আঃ খালেক এর ছেলে মোঃ মাহমুদুল (২০) এবং নগরহাট রামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মোঃ সাহান (২০)।মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২ ঘটিকায় এ সংক্রান্তে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরাফত ইসলাম।

জানা গেছে; ভিকটিম শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ আশিক (১৭) আসামী কাউছারকে একটি কাজ করে দেয়ার বিনিময়ে মাত্র ৪০০ টাকা প্রদান করে। কিন্তু আসামী কাউছার কাজটি না করলে ভিকটিম আসামীর কাছে উক্ত টাকা ফেরত চায়। কিন্তু আসামী কাউছার উক্ত টাকা আসামী মাহমুদুলের নিকট রাখে। আসামী মাহমুদুল উক্ত টাকা খরচ করে ফেলে। আসামী কাউছার টাকা দিতে তালবাহানা করে এবং ভিকটিম তার এক কথিত এলাকার বড় ভাইকে দিয়ে আসামী কাউছার ও সাহানকে টাকা ফেরত দেয়ার চাপ সৃষ্টি করলে আসামীরা অপমানিত বোধ করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের দুইদিন পূর্বে উক্ত টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে ভিকটিম আশিক আসামী কাউছারকে মারধর করার উপক্রম পরিবেশ তৈরী করে। এসব কারনে তারা রাগান্বিত হয়ে অন্যান্য আসামীদের (বন্ধুদের) সাথে পরামর্শ করে হত্যার পরিকল্পনা করে। উল্লেখ্য আসামীরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল।চাঞ্চল্যকর কলেজ পড়ুয়া শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ আশিক (১৭) কে হত্যার ঘটনার সহিত জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩ জন আসামীকে শাজাহানপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,ধারালো চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। গলা ও পায়ের রগ কাটিয়া আশিককে হত্যার কথা স্বীকার করে।