শফিকুল ইসলাম সাগর গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

চিনির ট্রাক ছিনতাই নাটকের অবসান। ট্রান্সপোর্টে পাঠানো ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই নাটক ,মিঠাপকুর উপজেলার একটি গোডাউন থেকে উদ্ধার।ট্রাক চালক ও হেলপার গ্রেফতার।
ধন্যবাদ ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দক্ষ পুলিশ পরিদর্শক ইনচার্জ সেরাজুল হক কে।

চালাক ট্রাক চালক ও হেলপার ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েও লাভ হলোনা, যেতে হলো জেল হাজতে। সাদুল্লাপুর এলাকার মহাসড়কের একবার পুর নামক স্হানে চিনির ট্রাক ছিনতাই হয়েছে মর্মে, ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করতে এসেছিলেন ট্রাক চালক, দায়িত্বরত সুদক্ষ ও বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত, এলাকায় স্বল্প সময়ে ব্যাপক সুনাম অর্জনকারী ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সেরাজুল হক, ট্রাক চালকের কথা বার্তা সন্দেহ হওয়ায় তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মুল রহস্য উদঘাটন করেন। নরসিংদী থেকে ট্রাকযোগে ৩২০ বস্তা চিনি ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠানোর পথে রহস্যজনক ভাবে গায়েবের পর চিনি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার স্হানীয় মেম্বার পদপ্রার্থী মমিনুর রহমানের গোডাউন ঘর থেকে গায়েব হওয়া ১৭৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চিনি বহনকারী ট্রাকের চালক নাজমুল ও হেলপার ইব্রাহিম খলিলকে আটক করেন ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক। পলাতক রয়েছেন স্হানীয় মেম্বার পদপ্রার্থী মমিনুর রহমান।

পুলিশ ও চিনির মালিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ নভেম্বর) নরসিংদী থেকে ৩২০ বস্তা চিনি চন্দ্রপুরী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ট্রাকযোগে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-২০-০৪৪৭) ঠাকুরগাঁওয়ের জাকারিয়া ট্রেডার্সে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে চিনি গন্তব্যে না পৌঁছালে ট্রাক চালক নাজমুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন জাকারিয়া ট্রেডার্সের মালিক হোসাইন জাকারিয়া। তখন ট্রাক চালক হোসাইন জাকারিয়াকে জানান, টাঙ্গাইলে ট্রাক বিকল হয়ে পড়েছে, মেরামত করে রওনা দেবেন। এজন্য তিনি জাকারিয়ার নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা নেন। টাকা দেওয়ার পরেও পাঠানো চিনি না পৌঁছায় আবারো যোগাযোগ করা হলে চালকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ট্রাক চালক নাজমুল হক সাদুল্ল্যাপুর থানার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে জানায়, তার ট্রাক আটক করে ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই করা হয়েছে। ট্রাক চালকের কথায় সন্দেহ হলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস পুলিশ অফিসার ইনচার্জ সেরাজুল হক তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে চালক চিনিগুলো রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সদর বাজারে একটি গুদামে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। এ সময় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জিডি মুলে মঙ্গলবার রাতেই মিঠাপুকুর বাজারের মমিনুর রহমানের গুদামে চিনিগুলো আছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

পরে বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সুদক্ষ ইনচার্জ সেরাজুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ও মিঠাপকুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই গুদামঘর থেকে ১৭৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করেন। বাকি চিনির বস্তা গুলো উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় চিনির মালিক হোসাইন জাকারিয়া বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেফতারকৃত ট্রাক চালক নাজমুল ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া থানার আব্দুল খালেকের পুত্র ও হেলপার ইব্রাহিম খলিল শেরপুর জেলার শ্রীবদি থানার কুদ্দুস মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত ট্রাক চালক ও হেলপার কে রংপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, চিনি উদ্ধারের ঘটনায় চিনির মালিক হোসাইন জাকারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বাকি চিনি উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।