রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
 ৫ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবিক মর্যাদা দিবস ও আন্তর্জাতিক মানবধিকার দিবসে মঙ্গলবার বিকেল চারটা জাতীয় সংসদে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে দলিত জনগোষ্ঠীর সমানুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ আটদফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অন্য দাবিগুলো হলো, জাত-পাত ও পেশাভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২ অবিলম্বে পাশ করতে হবে, জাতীয় বাজেটে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, সকল মহানগরী ও পৌরসভায় দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং খাস জমির বরাদ্দের মাধ্যমে গ্রামীণ দলিতদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিশেষ বিবেচনায় এনে তাদের জন্য সুরক্ষার সকল উপকরণ সরবরাহ করতে হবে, সরকারি বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির কোটা প্রবর্তন করতে হবে, সকল ধরণের সরকারি চাকরিতে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে এবং দলিত শিক্ষার্থীদেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝড়ে পড়া রোধ কল্পে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশেষ উপবৃত্তির পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অরুণ কুমার সরকার। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম কুমার দাসের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আইনজীবী শফিক হোসেন, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শওকত হাসান, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিনা মারিও রেখা, হরিজন ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি বাসুদেব মন্ডল, দলিত ও বঞ্চিত অধিকার আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল রবিদাস, জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ জেলা মৎস্যজীবী সংগঠনের সভাপতি সচিন্দ্রনাথ সরকার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। দেশে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদেও নির্বাচনে দলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু জয়ী হওয়ার পর সব প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। বৈষম্যবিরোধী বিল জাতীয় সংসদে আজও পাশ করা হয়নি