রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন যাত্রীর  নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী রেল স্টেশন হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেন তারা।
নিখোঁজ হওয়া যাত্রীরা হলেন এলিনা ইয়াসমিন, আবু তালহা (২৪) ও চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৪)। এলিনার বাড়ি রাজবাড়ী শহরের নূরপুর গ্রামে। আবু  তালহার বাড়ির রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হক মন্ডল। অপরজন চন্দ্রিমা চৌধুরী রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন প্রামানিকের মেয়ে।
চন্দ্রিমার ভাই শোভন প্রামানিক বলেন, আমার ছোট বোন একটি বেসরকারি বিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিস্ট বিভাগে পড়ালেখা করেছে। সে ঢাকার মহম্মদপুরে আমাদের সঙ্গে থাকে। কয়েক দিন আগে সে বাড়িতে গিয়েছিলো। সে গতকাল বেনাপোল এক্সপ্রেসের চ নম্বর বগিতে রওনা দেয়। দুর্ঘটনার পর  থেকে চন্দ্রিমা নিখোঁজ রয়েছে। আমরা ঢাকার অনেকগুলো হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজ নিয়েছি। আমরা তাকে কোথায়ও খুঁজে পাচ্ছি না।
রিপন মাহমুদ বলেন, আমার দুই চাচাতো ভাই ঢাকা যাচ্ছিলো। আবু তালহা ও আবু তাসলাম। দুর্ঘটনার পর আবু তাসলাম ট্রেন থেকে নেমে যেতে পেরেছে। কিন্তু আবু তালহা নামতে পারে নাই। তাকে কোথায়ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
 সাজ্জাদ হোসেনের বড় ভাই মুরাদ হোসেন বলেন, এলিনা তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। ১০ দিন আগে এলিনার বাবা মারা গেছেন। এলিনা শুক্রবার  সন্ধ্যায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন। তার পাঁচ মাসের সন্তানকে পাওয়া গেছে। কিন্তু এলিনা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
রাজবাড়ীর কার্যরত স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বলেন, যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাজবাড়ী থেকে ৬৫ জনের মত যাত্রী এই ট্রেনে গিয়েছিল।