গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষীপুর প্রকাশ্যে অবৈধভাবে দিনে রাতে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব।

বাংলাদেশ কৃষি প্রদান দেশ অথচ কৃষকদের বাধ্য করে আবাদি জমির উর্বর মাটির টপসেল কেটে নেওয়ার মহোৎসব চলছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষীপুরে দিনে ও রাতে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে চলছে কোটি কোটি টাকার রমরমা ব্যবসা।সরজমিনে উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষীপুর গিয়ে দেখা যায় ভেকু দিয়ে দিনে ও রাতের আধারে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোৎসব এবং এই মাটি মাহেন্দ্র কাঁকড়ায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট ভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমির উর্বরতা। এবং অবৈধ মাহেন্দ্র কাঁকড়ায় করে মাটি নিয়ে যাতায়াতের কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ও নদী রক্ষার বাঁধ।

অথচ এই পুরান লক্ষীপুরের নদীর ভাঙ্গন রক্ষায় বাঁধটি সংস্কার করতে সরকার কে ব্যায় করতে হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। রাস্তাটি হয়েছে এখন জানি মরণ ফাঁদ যে কোনো মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভ্যান, রিক্সা, অটোরিকশা চলাচল তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ ও ছাত্র ছাত্রীরাসহ পথচারীদের পায়ে হেটে চলাচল করাটাও হয়েছে অত্যান্ত দুস্কর। অসুস্থ রোগী এই রাস্তা দিয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথেই হতে পারে মৃত্যুও। ধুলা বালুতে অতিষ্ঠ অতিষ্ঠ জনজীবন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন ছাত্র, ছাত্রী ও ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ প্রতিদিন রাতে রাস্তাটি দিয়ে মাহেন্দ্র কাঁকড়ায় করে মাটি নিয়ে যাতায়াতে এমন বেহাল দশা হয়েছে যে ছেলে মেয়েকে নিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াতের সময় রাস্তার ধুলোবালিতে পড়নের কাপড় সহ পুরো শরীর ধুলোয় ভরে যায়। এবং কি এই ধুলোবালির কারণে বেড়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি।

এবিষয়ে কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ আর এম মাহফুজার রহমান রাশেদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আসাদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।