ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

২ বছর পূর্বে বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপন এনজিও থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন খালেদা পারভীন। প্রায় ২০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করে অভাব অনটনের সংসার চালানোর জন্য ৬ মাস পূর্বে স্বামীসহ ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি নেয় খালেদা। এদিকে ১৩ হাজার টাকা ঋণ তুলতে আদালতে মামলা দায়ের উদ্দীপন এনজিও। ঢাকায় গার্মেন্টেসে থাকার কারনে আদালতে মামলা ও আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জানা না খালেদার। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) গ্রামের বাড়ি ফেরেন খালেদা। (১০এপ্রিল) বুধবার সকাল ১১টার দিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ। বিজ্ঞ আদালতে খালেদাকে কারাগারে প্রেরন করেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চর দমদমা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
খালেদা আদালতে যাওয়ার সময় শিশুকন্যা ফাতেমাকে রেখে পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় মা-মেয়ের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক করুন দৃশ্য দেখা যায়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চর দমদমা গ্রামে খালেদা (৩৫) পারভীনের স্বামী ইব্রাহিম দিনমজুর। অভাবের সংসারে ৪ মেয়ের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্য বিয়ে দিয়েছে। একজন মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। সবার ছোট মেয়ে ফাতেমা ৮বছর। ২বছর পূর্বে উদ্দীপন নামে একটি এনজিও থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন খালেদা। অভাবের কারণে সময়মতো ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে পারেনি।
তবে বেশ কয়েকটি কিস্তিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। বর্তমানে সুদ-আসল মিলে ১৩/১৪ হাজার টাকা পেত উদ্দীপন সংস্থাটি। ঋণের ১৩হাজার টাকা তুলে উদ্দীপন এনজিও খালেদার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও হয়। তবে ১৩হাজার টাকার জন্য আদালতে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জানত না খালেদা ও তার স্বামী।

বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, ঋণ নেওয়ার সময় অফিসে এসে ভালো ব্যবহার করেন গ্রাহকরা। কিন্তু সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করেন না। ঋণের টাকা তুলতে খালেদার বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। গ্রেফতারি পরোয়ানাও হয়েছে।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খালেদা পারভীনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।