মামুন আহমেদঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে থাই ৭ জাতের পেয়ারা চাষে লাভবান হওয়ার প্রহর গুনছে তায়জুল। প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরের ঢাকুইর দক্ষিণ পাড়ার মৃত হায়তুল্লাহ প্রাং এর ছেলে তায়জুল ইসলাম রাজশাহী থেকে থাই ৭ জাতের ২৭ টাকা মূল্যের ৫শ চারা কিনে ৮০ শতক জমিতে ২০২০ সালের জুলাই মাসের দিকে তা রোপন করে। সরেজমিনে গিয়ে চাষি তাইজুল ইসলামের সাথে পেয়ারা চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ৮০ শতক জমিতে থাই ৭ জাতের ২৭ টাকা পিচ ৫শ চারা কিনে আমার নিজস্ব ৮০ শতক জমিতে ২০২০ সালের জুলাই মাসের দিকে রোপন করেছিলাম। চারা, মজুরি, ওষুধ, সার, সেচ, পলিথিন খরচ সহ সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে পেয়ারা উত্তোলন শুরু করেছি শুরুতে দেড় থেকে ২ মন পেয়ারা উঠছে। পরবর্তীতে ৭ থেকে ১৪ মন পেয়ারা উঠবে আশা করছি। এ প্রর্য›ত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছি। বর্তমান বাজার মূল্যে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পরবর্তীতে বাজার মূল্য একটু কম থাকে সে সময় ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি করতে হয়। আগামী ২০২৩ সাল প্রর্যন্ত পেয়ারা ধরবে, সব গুলো গাছ যদি ভাল থাকে প্রতি বছর ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করা যাবে বলে আশা করেন তিনি। চাষি তাইজুল গত ৩০ বছর যাবৎ তিনি আম, লিচু, কাঠাল, লেবু, কলা, পেয়ারা, জলপাই, সহ বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন করেন তিনি তার নিজস্ব নাসার্রিতে। কিন্তু বিগত ৭ বছর যাবৎ তিনি পেয়ারা ও কলা বাগান করে আসছেন। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তায়জুল ইসলাম একজন সফল পেয়ারা চাষি। তিনি তার ৮০ শতক জমিতে থাই৭ জাতের পেয়ারা চাষ করেছে কৃষি অফিস থেকে তাইজুলকে সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয় আশা করা যাচ্ছে তায়জুল থাই৭ জাতের পেয়ারা বিক্রি করে অনেক লাভবান হবে।